বেশ আগে থেকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলা শুরু হয়েছে। লাতিন কিংবা এশিয়ান অঞ্চলে জমে উঠেছে এই লড়াই। তবে লম্বা সময় পেরিয়ে গেলেও ইউরোপ অঞ্চলে নেই উত্তাপ। ইউরোপিয়ান দলগুলো ব্যস্ত ছিল নেশন্স লিগের লড়াইয়ে। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এসে হলো বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্বের ড্র।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জুরিখে বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাই পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৬ সালে দেখা যাবে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ। ইউরোপ থেকে অংশ নেবে ১৬ দেশ। যার জন্য লড়বে ৫৩ দেশ। আর তাদেরই ভাগ করা হয়েছে ১২টি গ্রুপে।
সব গ্রুপে অবশ্য সমান প্রতিপক্ষ নেই। ছয়টি গ্রুপ সাজানো হয়েছে চারটি করে দল নিয়ে। অন্য ছয়টি গ্রুপে রাখা হয়েছে পাঁচটি করে দল। গ্রুপের প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ ১২টি দল সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পাবে।
১২ গ্রুপের ১২ চ্যাম্পিয়ন দলের পর শুরু হবে চার দেশ বাছাইয়ের লড়াই। সেজন্যে গ্রুপগুলোর দ্বিতীয় সেরা ১২ দলের সঙ্গে যুক্ত হবে উয়েফা নেশন্স লিগ খেলা চার দল। নেশন্স লিগের গ্রুপ বিজয়ীদের মধ্যে সেরা, কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে- এমন চারটি দলসহ মোট ১৬ দলের প্লে-অফ অনুষ্ঠিত হবে।
এক নজরে ইউরোপ অঞ্চলের গ্রুপ
গ্রুপ এ: জার্মানি/ইতালি (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী দল), স্লোভাকিয়া, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ।
গ্রুপ বি: সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্লোভেনিয়া ও কসোভো।
গ্রুপ সি: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (নেশন্স লিগের ম্যাচ পরাজিত দল), গ্রিস, স্কটল্যান্ড ও বেলারুশ।
গ্রুপ ডি: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী দল), ইউক্রেন, আইসল্যান্ড ও আজারবাইজান।
গ্রুপ ই: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী দল), তুরস্ক, জর্জিয়া ও বুলগেরিয়া।
গ্রুপ এফ: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী দল), হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড ও আর্মেনিয়া।
গ্রুপ জি: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (নেশন্স লিগের ম্যাচ পরাজিত দল), পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও মাল্টা।
গ্রুপ এইচ: অস্ট্রিয়া, রোমানিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সাইপ্রাস এবং সান মারিনো।
গ্রুপ আই: জার্মানি/ইতালি (নেশন্স লিগের ম্যাচ পরাজিত দল), নরওয়ে, ইসরায়েল, এস্তোনিয়া ও মলদোভা।
গ্রুপ জে: বেলজিয়াম, ওয়েলস, নর্থ মেসিডোনিয়া, কাজাখস্তান ও লিখটেনস্টেইন।
গ্রুপ কে: ইংল্যান্ড, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, লাটভিয়া ও অ্যান্ডোরা।
গ্রুপ এল: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (নেশন্স লিগের ম্যাচ পরাজিত দল), চেক প্রজাতন্ত্র, মন্টিনিগ্রো, ফারাও আইল্যান্ড ও জিব্রাল্টার।
এই ১৬টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে নকআউট পদ্ধতিতে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মাধ্যমে বিশ্বকাপের জন্য একেকটি দল নির্বাচিত করা হবে।
বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো আগামী বছরের মার্চ থেকে শুরু হবে। শেষ হবে নভেম্বর উইন্ডে। ২০২৬ সালের ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্লে-অফ পর্বের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। এরপর ওই বছরের ১১ জুন শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল আসর।
মন্তব্য করুন