আইপিএলের শুরু থেকে গত বার পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসেই খেলেছেন ঋষভ পন্থ। হয়েছেন অধিনায়কও। কিন্তু এ বারের নিলামের আগে পন্থকে ধরে রাখেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। তখনই বোঝা গিয়েছিল পন্থ আর দিল্লিতে থাকতে চান না।
নিলামে ‘রাইট টু ম্যাচ কার্ড’ ব্যবহার করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের পুরনো অধিনায়ককে কেনেনি তারা। কেন দিল্লি ছাড়লেন পন্থ? নেপথ্য কারণ খোলসা করলেন দলের মালিক পার্থ জিন্দল। জানিয়েছেন, টাকা নয়, দলের সঙ্গে অন্য একটি কারণে মতবিরোধ হয়েছিল পন্থের।
দিল্লি এ বারের আইপিএল থেকে দুই মালিক নীতি নিয়েছে। দলের মালিক জিএমআর ও জিএসডব্লিউ গোষ্ঠী। এত দিন দুই গোষ্ঠী যৌথ ভাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিল। এখন ঠিক হয়েছে, দু’বছর করে মালিকানা একটি গোষ্ঠীর কাছে থাকবে। আপাতত ২০২৭ সাল পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসের দায়িত্ব রয়েছে জিএমআর গোষ্ঠীর কাছে।
অন্যদিকে এই সময় মহিলাদের আইপিএলে দিল্লি দলের মালিকানা থাকবে জিএসডব্লিউ গোষ্ঠীর কাছে। সেই কারণে দিল্লির কোচিং দলও এ বার বদলে গিয়েছে। মালিকের সঙ্গে পন্থের চিন্তাভাবনা না মেলায় ক্রিকেটার দিল্লি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন পার্থ।
নিলাম শেষে পার্থ বলেন, “আমাদের মতাদর্শের পার্থক্য হয়েছে। পন্থ যে ভাবে দল চালাতে চেয়েছিল, আমরা সে ভাবে চাইনি। এটাই প্রধান কারণ। টাকার জন্য পন্থ দল ছাড়েনি। টাকা কোনও দিনই কোনও সমস্যা করেনি। আমাদের তিন জনের (পড়ুন পন্থ, পার্থ ও আর এক মালিক কিরণ গান্ধী) মতাদর্শ আলাদা। এখন কিরণ নিজের মতো করে দল চালাচ্ছে। পন্থের সেটা পছন্দ হয়নি। তাই ও শেষ পর্যন্ত দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
টাকার জন্য যে পন্থ দল ছাড়েননি তা নিজেই সমাজমাধ্যমে জানিয়েছিলেন পন্থ। সুনীল গাওস্করের একটি পোস্টের জবাবে সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি। পার্থ জানিয়েছেন, পন্থের আসল লক্ষ্য ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করা। তাই তিনি আইপিএলেও সে ভাবেই নেতৃত্ব দিতে চান। কিন্তু তাঁদের ভাবনা কোনও ভাবেই মিলছে না।
পন্থকে তিনি নিজের ছোট ভাইয়ের মতো ভালবাসেন বলে জানিয়েছে পার্থ। তাই তিনি দল ছেড়ে যাওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন তিনি। পার্থ বলেন, “পন্থ আমার ছোট ভাইয়ের মতো।
ওর লক্ষ্য ভারতের অধিনায়ক হওয়া। তার শুরুটা ও আইপিএল থেকে করতে চায়। ও আমাদের জানিয়ে দিয়েছিল, ও দল নিয়ে কী ভাবছে। সেই ভাবনা আমাদের সঙ্গে মেলেনি। তাই শেষ পর্যন্ত ও দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানিয়েছি।”
নিলামে পন্থকে নিতে মরিয়া ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। তাঁর দাম ওঠে ২০ কোটি ৭৫ লক্ষ। সেই টাকায় রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে পন্থকে ধরে রাখতে চায় দিল্লি। তখন লখনউয়ের মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কা পন্থের দাম বাড়িয়ে ২৭ কোটি হাঁকেন। সেই টাকা দিতে রাজি হয়নি দিল্লি। ফলে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে লখনউয়ে যান পন্থ।
মন্তব্য করুন