বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের কালো যুগ!

স্পোর্টস ডেস্ক
  ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪

বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স অ্যান্ড স্কোরার অ্যাসোসিয়েশনে নামের মধ্যেই যেন ফাঁক। তাদের কাজ কী হওয়া উচিত আর কি কাজ করছে। 

তারা শুধু পছন্দের আম্পায়ারদের বেশি ম্যাচ দেওয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতেই সচেষ্ট। বছরের পর বছর পার হলেও আম্পায়ারদের মান উন্নয়ন কিংবা দুস্থ আম্পায়ারদের পাশে থাকেনি কখনোই।

গত তিন বছর বাদ দিলে তার আগে আম্পায়ারদের কালো যুগ হিসাবে মনে করা হয়। বিসিবির বর্তমান আম্পায়ার্স কমিটি আম্পয়ারদের মান উন্নয়নে কিছু প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দেওয়ায় এই বিভাগে সবশেষ এক বছরে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ।

আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাজ কী? জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো আমাদের কাজ করার চেষ্টা করছি।’

কি কাজ করছেন? তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় কমিটি রয়েছে। তাদের মাধ্যমে নিয়মিত আপডেট পাই। মাদারীপুর-রাজবাড়ীসহ বেশ কয়েক জায়গায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমাদের ফান্ড নেই। নিজেদের অর্থ দিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।’

গত বছর ধরে আম্পায়ারিং-বিতর্কের দায় নিতে চায় না অ্যাসোসিয়েশন। এই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী মিশু ৩১ বছর ধরে একই দায়িত্বে রয়েছেন। প্রায় আড়াই যুগ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে থাকা মুজিবুর রহমান এবার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।

আম্পায়ারিংয়ে সুখ্যাতি রয়েছে এমন একজন আম্পায়ার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই অ্যাসোসিয়েশনে যারা আছে তারা নিজেদের লোক নিতেই ব্যস্ত। কোনো কর্মশালা, ক্রিকেটের আইন শেখানো, ইংরেজি ভাষার মান উন্নয়ন বা প্রশিক্ষণের ধারেকাছেও যান না। বরং যারা দীর্ঘদিন ধরে বাজে আম্পায়ারিং করে আসছেন তাদেরই অভিজ্ঞ দেখিয়ে বড় ম্যাচে জায়গা দিতে চায়।’

সবশেষ আম্পায়ারদের মান উন্নয়ন পরীক্ষায় অনেকেই কোনো নম্বরই তুলতে পারেননি। অথচ যে আম্পায়ারিং নিয়ে ছিল সমালোচনা, সেখানেই আন্তর্জাতিকভাবে সবশেষ এক বছরে অভাবনীয় সাফল্য ধরা দিয়েছে। 

ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ, সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই, ভুল করলে অবনমন, ইংরেজি ভাষার মান বাড়িয়ে এবং আইসিসি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে ছেলে এবং মেয়েদের দুই বিভাগেই আইসিসিতে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে আইসিসির প্যানেলে নাম লিখিয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। এছাড়া এ বছর মার্চে চার নারী আম্পায়ার ও একজন ম্যাচ রেফারি আইসিসির প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েশনের উলটো অভিযোগ নিয়ে আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, ‘আমি সব সময় চাই যোগ্যরা এখানে সুযোগ পাক। আমার ভুল হলে আপানারা সমালোচনা করুন সেটা ভালোভাবে নেব। 

দায়িত্ব নেওয়ার পর আহামরি কিছু করে ফেলেছি এমনটাও নয়। এই বিভাগ এতটাই খারাপ ছিল যে মাত্র ১০-১২ ভাগ কাজ করেই সাফল্য ধরা দিচ্ছে। এখানে আরও অনেক সাফল্যের সুযোগ রয়েছে।’

মন্তব্য করুন