ডেন পিডট ও কাইল ভেরেইন্নের উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষটুকু মুড়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় লিড পেয়েই প্রথম ইনিংস শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাগতিকদের ১০৬ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে করেছে ৩০৮ রান। খানিক পর বাংলাদেশ ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে।
স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ভেরেইন্নে, খেলেন ১৪৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১১৪ রানের ইনিংস। তার আগে ডেন পিডট ৩২ রানে মিরাজের বলে বোল্ড হন। ক্রিজে আছেন। নবম উইকেটে এই দুই ব্যাটার ৬৫ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন। সফরকারীরা বর্তমানে ১৮৬ রানের লিডে রয়েছে।
মঙ্গলবার ছয় উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে মঙ্গলবার সফরকারীরা দ্বিতীয় দিনের খেলা আরম্ভ করে। ভেরেইন্নে ও মুল্ডার স্বাগতিকদের বিপক্ষে লিড বাড়িয়ে নিতে থাকেন। দুজনই ফিফটির দেখা পান। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে জীবন পান মুল্ডার। নাঈম হাসানের বলে শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা মুমিনুল হক লাফিয়েও বল তালুবন্দিতে ব্যর্থ হন।
হাসান মাহমুদের বলে প্রথম স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে ধরা পড়ে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে ফেরেন মুল্ডার। ভেঙে যায় তার সঙ্গে ভেরেইন্নের সপ্তম উইকেটে গড়া ১১৯ রানের জুটি। পরের বলেই কেশব মহারাজকে বোল্ড করে হাসান হ্যাটট্রিকের আশাও জাগিয়েছিলেন।
পরে হাসানের বলে সোজা শট খেললেন ডেন পিডট। ফলো-থ্রুতে ধরতে গিয়ে হাত লাগালেন হাসান। বল আঘাত করলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে স্টাম্পে। তা দেখে রানের জন্য দৌড়ালেন পিডট। কিন্তু ক্রিজেই দাঁড়িয়ে থাকলেন কাইল ভেরেইন্নে। পরে ক্রিজের মাঝখান থেকে পিডট আবার ক্রিজে ফেরার সময় বল ধরে থ্রো করতে বেশি সময় নেন হাসান। তার থ্রোতে স্টাম্পে বল আঘাত করেনি, পিডটের শরীরে লাগায় নষ্ট হয় রান আউটের সুযোগ।
নবম উইকেটে ভেরেইন্নে ও পিডট ৬৬ রানের জুটি গড়েন। তাদের বিদায়ে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ১২২ রান খরচায় পান ৫ উইকেট। হাসান মাহমুদ ৩টি ও মিরাজ ২ উইকেট দখল করেন।
মন্তব্য করুন