বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

চেন্নাইতে কেমন হবে বাংলাদেশের একাদশ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৩১
ছবি- সংগৃহীত

একজন বোলার তথা পেসার কমলেও টিম কম্বিনেশন কিন্তু বদল হয়নি। ঠিকই ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ৩ পেসার, ২ স্পিনার, ২ জন অলরাউন্ডার আর ৭ প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার নিয়েই খেলেছে বাংলাদেশ। সে টিম কম্বিনেশন সফলও হয়েছে।

টিম এফোর্ট আর টিম পারফরম্যান্সের অনুপম প্রদর্শনী ঘটিয়ে পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে যথাক্রমে ১০ ও ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল দল, গড়েছে ইতিহাস।

রাওয়ালপিন্ডির পিচে টিম বাংলাদেশের একাদশ বাছাই ছিল শতভাগ কার্যকর। কতজন ব্যাটার হলে এই পিচে সফল হওয়া যাবে, কতজন পেসার ও স্পিনার থাকলে প্রতিপক্ষ দলকে দুইবার অলআউট করা সম্ভব হবে, সে দূরদর্শী চিন্তাভাবনাগুলো বেশ গোছানো ছিল।

রাওয়ালপিন্ডির পিচ যা চেয়েছে, সেই পিচে যেমন কম্বিনেশন ছিল সবচেয়ে কার্যকর; ঠিক সেই কম্বিনেশনটাই ছিল বাংলাদেশের। মেহেদী হাসান মিরাজকে ধরে ৮ ব্যাটার, ৩ পেসার ও ২ স্পিনার দিয়ে সাজানো হয়েছিল একাদশ। আর তা পুরোই ক্লিক করে।

এখন প্রশ্ন হলো, চেন্নাইতে ভারতের বিপক্ষেও কি ওই কম্বিনেশনই বহাল থাকবে বাংলাদেশের? নাকি একাদশে পরিবর্তন আনা হবে?

কোনো একটি দল সফল হলেই ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সেই একই দল খেলানো যায় না। কেননা টিম কম্বিনেশন নির্ভর করে উইকেটের চরিত্র, ইতিহাস আর প্রতিপক্ষ দলের ওপর।

সবার জানা, চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক। এ পিচে ভারতীয় স্পিনারদের প্রাধান্য ও কর্তৃত্ব বহুদিনের। এখন যিনি ভারতীয় স্পিন ডিপার্টমেন্টের অন্যতম স্তম্ভ, সেই অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এই স্টেডিয়ামে ৪ টেস্টে উইকেট ৩০টি।

অতীতে ভারতীয় স্পিনার অনিল কুম্বলে, হরভজন সিং ও এরাপল্লী প্রসন্ন এবং বেদির বলেও এ মাঠে ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের নাকানি-চুবানি খাওয়ার রেকর্ড বেশি। সেই উইকেটে পেসার বেশি নিয়ে খেলে আদৌ কতটা কার্যকর হওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।

কাজেই পাকিস্তানে তিন পেসার নিয়ে খেলে সাফল্যের দেখা মিললেও হয়তো চেন্নাইয়ের চিদাম্বরেমে বাংলাদেশ এক পেসার কমিয়ে আনবে। দুই পেসার আর তিন স্পিনার দিয়ে দল সাজাতে পারে টাইগাররা।

চেন্নাইতে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে একজন বাড়তি স্পিনার দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাইজুল ও নাইম হাসানের কোনো একজনের অন্তর্ভুক্তি ঘটার সম্ভাবনা আছে।

খালি চোখে মনে হচ্ছে, বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু অফস্পিনার মিরাজের সঙ্গে আরেক অফস্পিনার নাইম হাসানকেও খেলানো হতে পারে।

আবার তিন পেসার রেখে সমান তিন স্পিনার খেলানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাহলে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানার কম্বিনেশন রেখে সাথে হয়তো সাকিব ও মিরাজের সঙ্গে তাইজুল বা নাইম হাসানকে নেওয়া হতে পারে।

সমান তিনজন করে পেসার ও স্পিনার খেলাতে হলে একজন ব্যাটার কমাতে হবে। সেক্ষেত্রে ওপরের দিকে মানে ওপেনিং জুটি থেকে জাকির হাসানকে ছেঁটে ফেলে সাদমানের সাথে অধিনায়ক শান্তকে দিয়ে ওপেন করাতে হবে।

আর ব্যাটার কমে গেলে তাইজুলের চেয়ে নাইম হাসানকে খেলানো হবে যুক্তিযুক্ত। কারণ নাইম ব্যাট করতে পারেন। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারের বিকল্প হতে না পারলেও নাইমকে দিয়ে ঠেকার কাজ চালাতে পারবেন অধিনায়ক।

মন্তব্য করুন