বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অধিক সময় কম্পিউটার ব্যবহারের যত ঝুঁকি

আইটি ডেস্ক
  ১৭ নভেম্বর ২০২২, ১১:৫৭

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কম্পিউটার ব্যবহার না করায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা। চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত ৪ ঘণ্টা বা তার বেশি কম্পিউটার ব্যবহারে অনেক রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কম্পিউটারের কি বোর্ড ও মাউসের দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে হাতের রগ, স্নায়ু, কবজি, বাহু, কাঁধ ও ঘাড়ে অতিরিক্ত টান বা চাপ পড়ে। কাজেই কাজের ফাঁকে যথেষ্ট বিশ্রাম না নিলে এসব অঙ্গ ব্যথাসহ নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
 
মাত্রাতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহার করলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে? প্রতিকারের উপায়ই বা কী? জেনে নিন সেগুলো।

১। পেশির সমস্যা
যারা বেশি কম্পিউটার ব্যাবহার করেন, তারা প্রায়ই এই সমস্যায় ভোগেন। বসার অবস্থান যদি ঠিক না হয়, তাহলে পিঠ, ঘাড় কিংবা কোমরে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রতিকারের উপায়

চেয়ার এবং কম্পিউটার টেবিল এমন ভাবে রাখতে হবে যেন মনিটরের স্ক্রিন চোখের সমানে থাকে।
মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে হবে।
পা দু’টোকেও সোজা ছড়িয়ে রাখতে হবে। ফলে পেশিতে টান লাগবে না।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে উঠে হাঁটতে হবে।
২। ঘাড়, আঙুল এবং কাঁধে ব্যথা
অনেকক্ষণ মাউস ধরে কাজ করলে আঙুলে রক্তসঞ্চালন কম হয়। ফলে আঙুলে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। কাঁধের পেশিতেও ব্যথা হতে পারে। কব্জি ও আঙুলে কার্পাল টানেল সিনড্রোম দেখা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

প্রতিকারের উপায় 

মাউসটাকে কি বোর্ডের পাশে এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে পুরো হাতটা নড়াচড়া করতে পারে।
মাউস ব্যবহার করার সময় কবজি ও হাত একসাথে ব্যবহার করুন, শুধু কবজি ব্যবহার করবেন না।
হালকা এবং আলতো করে টাইপ করুন। টাইপ করার সময় কবজিকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় না রেখে কাজ করাই ভালো।
যখন টাইপ করবেন না, তখন কি বোর্ড থেকে হাত সরান, হাতটাকে স্ট্রেচ করুন। হাত শিথিল হতে দিন।
৩। চোখের সমস্যা
মানুষের চোখ গঠনগতভাবে ছয় মিটারের বেশি দূরের বস্তুর দিকে তাকাতে পছন্দ করে, তাই বেশি কাছ থেকে যেকোনো কাজ আপনার চোখের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন ও দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করলে চোখে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়, একে বলা হয় কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম। এই সিনড্রেমের মধ্যে রয়েছে চোখ জ্বালাপোড়া করা, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চোখ চুলকানো, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া।

প্রতিকারের উপায়:

মনিটরের স্ক্রিন যেন অবশ্যই চোখ থেকে ৫০-৬০ সেন্টিমিটার দূরে থাকে।
প্রতিফলন বা একদৃষ্টি এড়াতে স্ক্রিনটি সামান্য কাত করে রাখুন।
কোনও ডকুমেন্ট হোল্ডার ব্যবহার করলে তা অবশ্যই স্ক্রিনের কাছাকাছি রাখবেন।
মাথার ওপরে থাকা বাতির আলো এবং টেবিলের বাতির আলো এমনভাবে কমিয়ে দিতে হবে যেন যেন আপনার চোখে বা কম্পিউটারে পর্দায় না পড়ে।
এক দৃষ্টিতে  স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। চোখ দু’টো মাঝে মাঝে বন্ধ করুন। প্রতি ১০ মিনিট পর
পর কিছুক্ষণের জন্য দূরের কোনও কিছুর দিকে তাকাবেন, এতে চোখ আরামবোধ করবে।
স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে কাজ করুন। যাতে চোখের উপর বেশি চাপ না পড়ে।
৪। মাথা ব্যথা
মাথা ও ঘাড়ের পেশি ঠিক মতো সঞ্চালন না হলে মাথা যন্ত্রণা করতে পারে। প্রতিদিন অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে চোখের সমস্যা থেকে মাথা ব্যথাও হতে পারে।

প্রতিকারের উপায় 

নিয়মিত চোখের চেকআপ করান। ঘাড় গুঁজে কাজ না করাই ভালো। ঘাড় সোজা রেখে কাজ করার চেষ্টা করুন।

মন্তব্য করুন