মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ও অ্যামাজনের বিরুদ্ধে ভুয়া ফাইভ স্টার রিভিউর অভিযোগ তদন্ত করছে ব্রিটিশ সরকারের ‘কম্পিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি’-সিএমএ। করোনা মহামারিতে অনেক দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনলাইন শপিং অনেক বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে অনলাইন শপিং কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে ভোক্তাদের সুবিধা সংরক্ষণ করছে কি না বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষে সিএমএ আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতির অভিযোগ আনে।
ভুয়া রিভিউর কারণে অনেক বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুযোগ বঞ্চিত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিএমএ। ভোক্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গুগল ও অ্যামাজন আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে পারে। তবে, এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে টেক জায়ান্ট দুটি বলছে, ভুয়া রিভিউ বন্ধে তাদের পর্যাপ্ত জনবল এবং নীতিমালা রয়েছে। সিএমএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আন্দ্রেয়া কোশেলি বলেন, আমাদের উদ্বেগের কারণ হলো, অনলাইনে লাখ লাখ ক্রেতা এ ধরনের ভুয়া রিভিউ আর সুপারিশ দেখে টাকা খরচ করে প্রতারিত হতে পারেন। এ ধরনের ঘটনার টেক প্লাটফর্মগুলোরও দায়িত্ব আছে। যদি তারা সঠিক দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তাহলে যে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, আমরা খতিয়ে দেখছি একজন ব্যবহারী দুই জায়গাতেই রিভিউ দিচ্ছে কিনা। আবার পজিটিভি রিভিউর বিনিময়ে তারা আর্থিক কিংবা অন্য কোনো সুবিধা পাচ্ছে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুগল এবং অ্যামাজন এসব ঘটনা তদন্ত করে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা আমরা সেগুলোও যাচাই-বাছাই করছি। সিএমএ বলছে, তারা এটি নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন যে কোনো ক্রেতা যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ কাজ করে থাকেন সে ক্ষেত্রে অ্যামাজানের কোনো দুর্বলতা আছে কিনা।
গুগল জানিয়েছে, রিভিউ নিয়ে তাদের সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। কোথায় এর ব্যত্যয় ঘটলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি; প্রয়োজনে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। অ্যামাজনের এক মুখপাত্র বলেছেন, এ ধরনের ভুয়া ও সুবিধাবাদী রিভিউয়ার প্রতিরোধে তাদের পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে সিএমএকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন