দোয়া ইসলামের অন্যতম ইবাদত। হাদিস শরিফে দোয়াকে ইবাদতের মগজ আখ্যায়িত করা হয়েছে। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর ওলি হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো পাপী বান্দার দোয়াও মহান আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহর রাসূল সা. যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে দোয়ায় মত্ত হয়ে যেতেন।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে। প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)
প্রয়োজন পূরণে ও আল্লাহর রহমত লাভের আশায় প্রায় সময় অনেকে দোয়া করে থাকেন। কিছু কিছু সময় ও জায়গায় দোয়া করলে কবুল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে প্রবল। এখানে এমন কিছু সময় ও জায়গা তুলে ধরা হলো—
>> নামাজের সিজদা এবং শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর।
>> কদরের রাতে ও আরাফার দিনে।
>> রমজান মাসে দোয়া করা।
>> আজানের সময়, আজান ও ইকামতের মধ্যকার সময় এবং যুদ্ধের সময়।
>> জুমার দিনে ইমামের মিম্বরে বসা থেকে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়।
>> শেষ রাতে এবং ফরজ নামাজের পর।
>>বৃষ্টির সময়।
>> অনুপস্থিত মুসলিম ভাইয়ের জন্য করা দোয়া।
>> জুলুমকারীর উপর মাজলুমের দোয়া।
>> সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া।
>> মুসাফিরের দোয়া।
>> ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া।
>> বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া।
>> ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া।
>> হজের সময় ছোট ও মধ্য জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের দোয়া।
>>কাবার ভেতরে করা দোয়া।
>> সাফা-মারওয়া পাহাড়ের উপর করা দোয়া।
>> আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদ) সৈন্যদের অগ্রসর হওয়ার সময়।
মন্তব্য করুন