আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপাী তাবলীগ জামাতের জেলা ইজতেমা।
মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের মুরুব্বি ও তাবলীগ জামাতের জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) মো. ওয়াসিকুল ইসলাম। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৪৯ মিনিটে শুরু হয়ে ১১টা ৫৪ মিনিটে মোনাজাত শেষ হয়।
৫ মিনিটের মোনাজাতে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সকল মুসলমানের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা কামনা করা হয়। এ সময় সর্বস্তরের মুসল্লির ঢল নামে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে (বড়মাঠ) ইজতেমা মাঠে সমবেত হন লক্ষাধিক মানুষ। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশের এলাকা মুসল্লির আগমনে ভরে ওঠে।
ইজতেমা মাঠ পরিণত হয় বিশাল জনসমুদ্রে। দক্ষিণ পাশে শিশুপার্কে অবস্থান নেন হাজার হাজার নারী ও শিশু।
মোনাজাতে লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেছে বলে ইজতেমার আয়োজক ও সাধারণ মুসল্লিরা দাবি করেছেন।
করে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। মোনাজাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এছাড়া বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে আগত নারী, পুরুষ ও শিশুসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
শেষ দিনে শনিবার ইজতেমায় বাদ ফজর বয়ান করেন ঢাকার কাকরাইলের মুরুব্বি হাফেজ ওয়াজিবুল্লাহ। এরপর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মোনাজাতের আগ পর্যন্ত বয়ান করেন মো. হারুনুর রশিদ ও শিহাব উদ্দীন।
এদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইজতেমা মাঠের চারপাশে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা মোতায়েন ছিল।
২০১৭ সালের ৩১ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথমবারের মতো, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মতো এবং ২০২৩ সালের ২ মার্চ থেকে ৪ মার্চ দিনাজপুরে ৩ দিনব্যাপী তাবলীগ জামাতের জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন