বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত!

ধর্ম ডেস্ক
  ১৬ জুলাই ২০২৪, ০০:২৭
ছবি- সংগৃহীত

মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ওয়াদা রক্ষা করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ করো’ (সুরা মায়েদা ১)। অপর আয়াতে এসেছে, ‘আর তোমরা ওয়াদা পূর্ণ করো, ওয়াদা সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে (সুরা বনি ইসরাঈল ৩৪)।

ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত। হাদিসে এসেছে, আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি- যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, আমানত রাখলে তা খেয়ানত করে এবং প্রতিশ্রুতি দিলে তা ভঙ্গ করে। (বুখারি ২৫৬২)

অপর হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে পতাকা স্থাপন করা হবে এবং বলা হবে, এটা অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার পতাকা। (ইবনে মাজাহ ২৮৭২)

কারও মধ্যে ওয়াদা ভঙ্গ করার বৈশিষ্ট্য থাকলে তাকে মুনাফিক হিসেবে গণ্য করা হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে পাওয়া যাবে, সে খালিস মুনাফিক গণ্য হবে।

যে কথা বলার সময় মিথ্যা বলে, আর যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে, যখন ঝগড়া করে গালমন্দ করে। যার মধ্যে এগুলোর কোনো একটি স্বভাব পাওয়া যাবে, তার মধ্যে নিফাকের একটি স্বভাব পাওয়া গেল, যে পর্যন্ত না সে পরিত্যাগ করে। (বুখারি ২৯৫৪)

অন্যদিকে, ওয়াদা ভঙ্গকারীর ওপর স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা লানত করেছেন। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘সুতরাং তারা তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদের লানত দিয়েছি এবং তাদের অন্তরসমূহকে করেছি কঠোর। তারা শব্দগুলোকে আপন স্থান থেকে বিকৃত করে এবং তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছে, তার একটি অংশ তারা ভুলে গিয়েছে এবং তুমি তাদের থেকে খেয়ানত সম্পর্কে অবগত হতে থাকবে, তাদের অল্প সংখ্যক ছাড়া। সুতরাং, তুমি তাদেরকে ক্ষমা করো এবং এড়িয়ে যাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন। (সুরা মায়েদা ১৩)

মুনাফিকের শাস্তি

মুনাফিকের শাস্তি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিকৃষ্ট স্তরে থাকবে এবং তাদের জন্য তুমি কখনও কোনো সাহায্যকারী পাবে না|’ (সুরা নিসা ১৪৫)

কোরআনে মুনাফিক সম্পর্কে আরও বলা হয়, আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ, মুনাফিক নারী ও কাফেরদের জাহান্নামের আগুনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, এটা তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদের অভিশাপ করেছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শাস্তি। (সুরা তওবা ৬৮)।

মন্তব্য করুন