বিশ্ব ইজতেমায় জঙ্গি হামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রনি সরকার (৩৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়ন বাজারের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া এবারের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৯ জোড়া যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আনা ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ প্রসঙ্গে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখনি পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার পরিচয় প্রকাশ করা হবে।
ওই ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলে একটি সংগঠনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে তাকে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি এবং তিনি কোনও বড় সংগঠনের প্রভাবশালী সদস্য নন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
নিরাপত্তা বিষয়ে ড. নাজমুল করিম খান বলেন, ‘মাঠে বিপুলসংখ্যক ভলান্টিয়ার কাজ করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চারপাশে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই রাস্তাগুলো খালি রাখতে, যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। তারা প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, ইজতেমায় অংশ নেওয়া ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে ইবাদত ও দোয়া করতে পারেন।’
যৌতুকবিহীন ৯ বিয়ে সম্পন্ন
তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। শনিবার আসরের নামাজের পর ইজতেমা ময়দানের বিদেশি খিত্তায় যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ে পড়ান মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এবার ৯ জোড়া যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, যৌতুকবিহীন বিবাহ করেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফজলে রাব্বি, নূর হোসেন সানি, মাফিন খান, গোলাম মোস্তফা, নাঈমুর রহমান, মোহাম্মদ শামীম, সাজ্জাদ হোসেন, সজিব খান।
বিয়ে পড়ানোর পর মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ সকল দম্পতির জন্য দোয়া ও মঙ্গল কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘বিয়েতে কাজি বিয়ে পড়ানোর জন্য ফি নেয়। তবে সেই ফি হিসেবে টাকার বিনিময়ে হয়। তবে যেহেতু এখন কামি আমি (ইউসুফ বিন সাদ)। আমি ফি হিসেবে চাই, যারা বিয়ে করতে এসেছেন সকলে ৪ মাস করে চিল্লায় বের হবেন, ইসলামের দাওয়াত দেবেন।’
মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ‘ইজতেমার মুসল্লিদের সংখ্যা কমানোর উদ্দেশ্যে একটি পক্ষ গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা মুসল্লিদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, ইজতেমা নির্বিঘ্নেই চলছে এবং যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার শেষ পর্বের সমাপ্তি ঘটবে।
মন্তব্য করুন