৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)ও জামিন পাননি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তবে তার বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কেন তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না, সেই প্রশ্ন তুলে সরকারের কাছে উত্তর চেয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মোহাম্মদ আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলি রেজার বেঞ্চ সরকারকে জবাব দেওয়ার জন্য দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।
গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ গ্রেফতার হয়েছিলো।
পরের দিন (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। সেখানে আইনজীবী আলিফ খুন হন। হত্যার অভিযোগ ওঠে হিন্দু বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ১১ জনকে সরাসরি খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে ভাঙচুর, অশান্তির মামলায় গ্রেফতার হন আরও ৪০ জন।
গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে শুনানি থাকলেও ইসলামি সংগঠনগুলির হুমকির জেরে চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে কোনও আইনজীবী এজলাসে হাজির হতে পারেননি বলে তারা অভিযোগ করে।
পরে গত ২ জানুয়ারিও চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলার শুনানিতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক ধর্মীয় সংগঠন মিলে গঠন করে ‘সনাতনী জাগরণ মঞ্চ’। ওই মিলিত মঞ্চের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। তার ডাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ ও সমাবেশের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ গ্রেফতার হলে বাংলাদেশের দিকে দিকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন