মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১

বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু নয়: ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:৪৪
ছবি-সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আর জুলুম নয়, আমানতের খেয়ানত নয়, বিভেদ নয়, ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে ঐক্য চাই।  

বেলা এগারোটায় নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, এতো মানুষ জীবন দিয়েছে কেনো, তারা চেয়েছে বৈষম্যহীন সমাজ। তারা বলেছে, আমরা চাঁদাবাজি বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। দশমাসের সন্তান থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধ, সবাই জুলাই আন্দোলনে নেমেছিল। সকল শ্রেণি পেশার মানুষ আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছিল। 

আওয়ামী লীগ বিভিন্ন দলের দেশ প্রেমিক নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। নির্বাচন তাদের জন্য, যারা দেশ ও দেশের মানুষকে আমানত মনে করে। আমরা চাই অতিদ্রুত সংস্কার করে বর্তমান সরকার দেশে একটি নির্বাচন দিক। 

জামায়াতের আমির বলেন, স্বাধীনতার পরে দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা আমানতের খেয়ানত করেছে। কম-বেশি সবাই এদেশের মানুষককে কষ্ট দিয়েছে, জুলুম করেছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে গত পনেরো বছর। পট পরিবর্তনের পর নেতাকর্মীদের বলেছি, সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, সবাই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনে হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমরা যুবকের হাতকে দেশ গড়ার হাতে পরিণত করতে চাই। 

তিনি আরো বলেন, আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারো হাতে যাওয়ার জন্য নয়। কারো লাল চোখ আমরা দেখতে চাই না। আমরা বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ গড়তে চাই। আমরা বিভেদ নয়, ঐক্য চাই। এদেশের হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই দেশের গর্বিত নাগরিক। 

জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাও. রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন এবং মোবারক হোসেন। 

মন্তব্য করুন