খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় মহেশপুর সীমান্তে খুলনা-৫ আসনের সদ্য সাবেক এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে বিএড পাস করেন। ডুমুরিয়ার সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবনের শুরু।
১৯৭৩ সালের ৭ মে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ১১ মার্চ চাকরি থেকে অবসর নেন।
বাংলাদেশে প্রথম অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলার ভাণ্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এ পদে তিনি ছয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০০ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ১৯৬৭ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে আওয়ামী লীগের ডুমুরিয়া থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৮৪ সালে ডুমুরিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি চারদলীয় জোটের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় একই আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
মন্তব্য করুন