শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

আ.লীগ নেতাকে সুবিধা দিতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি বিএনপি নেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:২৭
ফাইল ছবি

নগরীর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর শেখ খালিদ আহমেদকে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার আশ্বাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির ১৩নং যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক রিয়াজ শাহেদের একটি অডিও ক্লিপে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে।

কাউন্সিলর খালিদ খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নিকটাত্মীয় হিসেবে পরিচিতি। তবে বিএনপির দুই নেতা অডিও ক্লিপটি ভুয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অডিও এবং ভিডিও ক্লিপে শোনা যায়- কাউন্সিলর শেখ খালিদ আহমেদের কাছে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। নগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘রিয়াজ শাহেদের সঙ্গে যোগাযোগ করো, বোঝো তো, ওর দিকে একটু খেয়াল রাখো’।

অপর প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর শেখ খালিদ আহমেদকে বলতে শোনা যায়, ‘অবশ্যই, কিভাবে খেয়াল রাখতে পারি বলেন ভাইজান’। তখন নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘লাখ দুই টাকা ম্যানেজ করে দিয়ে দিও’। এরপর খালিদ আহমেদের সঙ্গে বিএনপি নেতা রিয়াজ শাহেদের সরাসরি দেখা করার কথা হয়।

৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক রিয়াজ শাহেদ বলেন, যারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তারাই এখন আমার রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে বেনামে অপপ্রচারে পোস্টারিং করছে। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে অডিও ক্লিপ বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।

মহানগর বিএনপির ১৩নং যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন জানান, মামলার বিষয় দেখভালের জন্য দপ্তরের টিপু এবং আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এইজন্য থানায় গিয়েছিলাম। যার কারণে আমার নামে ভুয়া অডিও ক্লিপ ভাইরাল করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।কাউন্সিলর খালিদের নামে মামলা হয়েছে। তাহলে তার কাছে এইসব কথা বলার কোনো সুযোগই নেই।

কাউন্সিলর শেখ খালিদ আহমেদকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন অনেকেই ভুয়া পরিচয় দিয়ে এমন চাঁদা দাবি করছে। অপর প্রান্তে কে ছিল আমার জানা নেই। রিয়াজ এবং তার রাজনৈতিক আদর্শ ভিন্ন হলেও তারা একই সঙ্গে রাজধানী স্পোর্টিং ক্লাব নিয়ে আলোচনা করেন। কারণ তারা দুইজনই কমিটির শীর্ষ পদে আছেন।

মন্তব্য করুন