বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

এ বছরের মধ্যেই নির্বাচন চায় জামায়াত-বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৩

এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টাকে দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য জোর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি। দলটির এ দাবির সঙ্গে ঐকমত্য জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সঙ্গে বৈঠক করে হেফাজতে ইসলাম। বৈঠক শেষে হেফাজত নেতাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন, যেন ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যায়। কারণ, আমরা কখনো শুনি ডিসেম্বর থেকে জুন আবার কখনো শুনি জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নির্বাচন। এটি নিয়ে শিফটিং হচ্ছে। কিছু গোষ্ঠী নির্বাচন বিলম্বের পাঁয়তারা করছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। এমনকি শহীদের সংখ্যাটাও এখনো জানা যায়নি। ২০২১ সালে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালায় হাসিনা সরকার। এতে অনেক কর্মী শহীদ হয়েছেন। এ হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করে হেফাজত। তারা সুষ্ঠু বিচারদের মাধ্যমে এ মামলার নিষ্পত্তি চায়। আমরাও তাদের এই চাওয়ার সঙ্গে একমত।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে অসংখ্য মিথ্যা মামলা ও হেফাজত কর্মীদের জেলে নেওয়া হয়েছে। তারা সেগুলোর প্রত্যাহার চেয়েছে, আমরা একমত পোষণ করেছি। আমরা আহ্বান জানাবো, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, হেফাজত ইসলামের নেতারা রাজনীতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি করেছে, যেটি আমরা প্রকাশ্যে, লিখিত আকারে করেছি। আমরা চাই, আওয়ামী লীগকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারের আওতায় আনা হোক। এজন্য প্রয়োজনে সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন করা যায়। বিচারিক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে যদি আওয়ামী লীগের ভাগ্য নির্ধারণ হয়, তবে দেশের জনগণ সেটা মেনে নেবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেই মামলাগুলোর কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সমগ্র জাতি উদগ্রীব, তারা প্রত্যাশা করে যেন দ্রুত এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়। সেজন্য আমরা প্রস্তাব করছি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো হোক। জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো হোক। প্রয়োজনে বিভাগীয় শহরে ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা যেতে পারে।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মন্তব্য করুন