বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ঢাকা-চাঁদপুর রূটে ১৯০ টাকার লঞ্চ ভাড়া ৫০ টাকা!

উজ্জ্বল হোসাইন
  ১১ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৮

 

ঢাকা থেকে চাঁদপুর এবং চাঁদপুর থেকে ঢাকা বহু যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। এসব লঞ্চে ডেকের ভাড়া ১৯০-২০০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণীর চেয়ার ২৫০-২৬০ টাকা, প্রথম শ্রেণীর চেয়ার ২৮০-৩০০ টাকা এবং বিজনেস ক্লাস (এসি) ৩৫০-৩৮০ টাকা। এসব লঞ্চে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাচল করে। লঞ্চের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির কারণে কমেছে যাত্রী সংখ্যা। অনেক যাত্রী নদী পথে না গিয়ে সড়ক পথে ঢাকা-চাঁদপুর যাতায়াত করছে। গতকাল ১০ জুলাই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের লালকুঠি ঘাটে এসে দেখা গেল দুটি লঞ্চের স্টাফ ও কর্মকর্তারা ডেকে ডেকে যাত্রীদের ৫০ টাকা করে লঞ্চে উঠাচ্ছে।

লঞ্চ কর্মকর্তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে লঞ্চে যাত্রী উঠানো হচ্ছে, যাতে লঞ্চে যাত্রী বেশি পাওয়া যায়। ১৯০ টাকার টিকেট ৫০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে।

লঞ্চে আরোহণকারী এক যাত্রী জানান, আগে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে অনেক যাত্রী টিকিটের জন্যে আগাম বুকিং দিতে হতো। কিন্তু এখন আর টিকিটের জন্যে অগ্রিম বুকিং দিতে হয় না। কারণ হিসেবে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, লঞ্চ মালিকদের অনেক অব্যবস্থাপনা রয়েছে। খাবারের মূল্য অনেক বেশি। প্রায়শ লঞ্চে দেখা যায়, বিজনেস ক্লাসের ভাড়া নিয়ে কোনোরকম চেয়ারে যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। আবার কোনো লঞ্চে যাত্রীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। লঞ্চের স্টাফদের নানা রকম দুর্ব্যবহারের কারণে বিরক্ত যাত্রীরা। এছাড়া যাত্রীরা চাঁদপুর লঞ্চঘাট এবং ঢাকা সদর ঘাটে মালামাল নিয়ে লঞ্চে ওঠার পূর্বে ও নামার পর অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব কারণে অনেক যাত্রী নৌপথে না গিয়ে সড়ক পথে যাতায়াত করছেন।

আরেক যাত্রী জানান, বেশিরভাগ লঞ্চে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই। এদের মধ্যে ২-১টি লঞ্চ ভালো সেবা দিলেও বেশিরভাগ লঞ্চেই যাত্রীদের পড়তে হয় নানা রকম হয়রানিতে। লঞ্চ থেকে নামার পর ঘাটে সিএনজি ও রিক্সা ড্রাইভারদের দৌরাত্ম্যতো থাকছেই।

সড়কপথে যাতায়াত সুবিধা ও সময় কম লাগার কারণে অনেক যাত্রীই নদীপথে না গিয়ে সড়ক পথে যাতায়াত করছে।

উল্লেখ্য, ১০ জুলাই ১১টা ৩০ মিনিটে এমভি ইমাম হাসান-৫ ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে, আর ময়ূর-১০ লঞ্চটি দুপুর বারোটা ত্রিশ মিনিটে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ময়ূর লঞ্চটি বেলা পৌনে তিনটায় চাঁদপুরের কাছাকাছি এসে ইমাম হাসান-৫ কে অতিক্রম করে। এতে ময়ূর-১০ লঞ্চের ঢাকা থেকে চাঁদপুরে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র দুই ঘন্টা ৩০ মিনিট। ময়ূর লঞ্চের এক কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, আজকে নিয়ে আমরা পরপর ৭ দিন এতোটা কম সময়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুর এসে পৌঁছে যাই।

মন্তব্য করুন