শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৩৩ দিন পর শুরু হলো সেন্ট মার্টিনের পথে নৌ চলাচল

প্রবাহ বাংলা নিউজ
  ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫০

অবশেষে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নৌ পথ স্বাভাবিক হয়েছে। টানা ৩৩ দিন পর গতকাল রোববার থেকে দ্বীপের সঙ্গে টেকনাফের নৌ রুটে ট্রলার ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার শুরু হয়। নৌযানগুলোর যাতায়াত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী।

গত ৪ জুন থেকে এই পথে নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই সময়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সঙ্গে নৌচলাচল করেছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি দিয়ে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, মিয়ানমারের চলমান সংঘাত চলাকালে গত মাসের প্রথমার্ধে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী নৌযানে মিয়ানমারের দিক থেকে আকস্মিক গুলিবর্ষণের ঘটনার পর থেকে দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ একপ্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন দ্বীপবাসীর জন্য নিত্যপণ্য যথারীতি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। এ কারণে দ্বীপের বাসিন্দাদের নিত্যপণ্যের কোনো সংকট সৃষ্টি হয়নি।

গতকাল সকালে টেকনাফের নৌঘাট থেকে দুটি ট্রলার সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে যাত্রী ও পণ্যসামগ্রী নিয়ে রওনা দিয়ে দ্বীপে পৌঁছে। অন্যদিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকেও তিনটি ট্রলার এবং আরো কয়েকটি স্পিডবোট যাত্রী নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ জেটি হয়ে টেকনাফে পৌঁছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের যাত্রীবাহী বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ রশিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির পরামর্শমতো ট্রলার ও স্পিডবোটের আগে ও পেছনে উঁচু বাঁশের আগায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনের নৌ রুট পাড়ি দেওয়া হচ্ছে। আমিও নিজের যাত্রীবাহী ট্রলার নিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে শাহপরীর দ্বীপ জেটি হয়ে টেকনাফে এসেছি। ’

দ্বীপের স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, বাংলাদেশি পতাকা উড়িয়ে নাফ নদের বাংলাদেশ জলসীমানার ভেতর দিয়ে নিরাপদে দ্বীপের সঙ্গে শাহপরীর দ্বীপের জেটিসংলগ্ন ঘোলারচর এলাকায় যাতায়াত করা যাচ্ছে। আবার শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট থেকেও নাফ নদের জলসীমানা ধরে টেকনাফের জেটিতে নৌযানগুলো যাতায়াত করছে।

মন্তব্য করুন