বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দানবীর হাজী কাউছ মিয়া আর বেঁচে নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:০৮

বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা, প্রবীণ ব্যবসায়ী ও দানশীল হাকিমপুরী জর্দার মালিক, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান হাজী মোঃ কাউছ মিয়া আর বেঁচে নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। সোমবার ২৪ জুন দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুকালে হাজী মোঃ কাউছ মিয়ার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৮ মেয়ে রেখে গেছেন কাউছ মিয়া। তিনি বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন।

মঙ্গলবার ২৫ জুন বাদ যোহর আরমানীটোলা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন কাউছ মিয়ার মেয়ে খাদিজা কাউছ বিউটি ও ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া। তারা বলেন, আব্বা বার্ধক্যের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার পর দেশে আনা হয়।

পুরান ঢাকার বাসভবনে শয্যাশায়ী ছিলেন। শনিবার বিকালে আব্বার (হাজী মোঃ কাউছ মিয়ার) শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আজগর আলী হাসপাতালে নেয়া হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়া থেকে চির বিদায় নেন। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি,আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন আমিন।

হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। তিনি দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা শহরের পুরাণবাজারে ব্যবসা করেন। পরে হাজিগঞ্জে, সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ব্যবসা করেন। হাকিমপুরীর জর্দার ব্যবসার পাশাপাশি তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ছিল। ২২ বছর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করেন এবং টানা ৭১ বছর এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার পর ২০২৪ সালের ২৪ জুন রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

হাকিমপুরী জর্দার মালিক, দেশসেরা শীর্ষ করদাতা ও একজন দানশীল মানুষ হিসাবে হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়ার সুনাম ছিলো দেশ জুড়ে। তাঁর মৃত্যুতে দেশের মানুষ একজন প্রবীণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবককে হারালো।

উল্লেখ্য, কাউছ মিয়া স্বাধীনতার আগে একবার এবং পরে যতবার এনবিআর সেরা করদাতার সম্মাননা দিয়েছে প্রতিবারই অর্থাৎ টানা ২০ বার তিনি শীর্ষ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন। এ বছরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি তাঁর সেরা করদাতার সম্মাননা হুইল চেয়ারে করে এসে নিজ হাতে নিয়েছিলেন। মুজিব বর্ষেও একমাত্র কাউছ মিয়াকে সেরা করদাতা মনোনীত করা হয়।

চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির শোক

চাঁদপুর ডায়াবেটিক ডায়াবেটিক সমিতির দাতা সদস্য হাজী মো. কাউছ মিয়ার মৃত্যুতে সমিতির পরিচালনা পর্ষদ ও চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

মন্তব্য করুন