সারা বিশ্বকে যে দেশটি শাসন করে সেই দেশের নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ সারা বিশ্বের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই বাংলাদেশের জনগণ এই বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছেন এবং এই সরকার বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের জন্য আশীর্বাদ না পীড়াদায়ক হয়ে ওঠে সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তার শেষ হচ্ছেনা এ দেশের মানুষের। কেউ কেউ ভাবছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুকূলে যেতেও পারে এ সরকার। কারণ হিসেবে অনেকে দেখছেন ড.ইয়নুস সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের এই সরকারের বিরোধীদলের নেতাদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশে কথিত জঙ্গিবাদ এর অপবাদের বাহিরে নয় তাই । এখন দেখার বিষয় দেশের পরবর্তী ভবিষ্যৎ কি হয়? যুক্তরাষ্ট্রের এই সরকার নিজেদের খরচ কমানোর স্বার্থে বিশ্বের অনেক সংস্থাকে এখন সহযোগিতা করতে চায় না।
তাই সারা বিশ্ব ব্যাপী এর প্রভাব ফেলতে পারে বলে গুণীজন মনে করেন। সারা বিশ্বে যখন যুদ্ধের কারণে শিশু মরছে , মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, বিশ্ব জলবায়ু হুমকির মুখে ঠিক সেই সময়ে ২১ জানুয়ারি ২০২৫ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবারের এই শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসলেন তিনি।প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর মি. ট্রাম্প যে ভাষণ দিয়েছেন, সেখানে তিনি বেশ কিছু বড় ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারির কথা বলেছেন।সেই সঙ্গে, পানামা খাল আবারও ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।এ দফায় ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমেরিকার স্বর্ণযুগে পা দিয়েছে বলেও ভাষণে উল্লেখ করেছেন মি. ট্রাম্প।''আমেরিকার স্বর্ণযুগ এখন থেকে শুরু হলো,'' বলেন নতুন প্রেসিডেন্ট।তিনি আরও বলেন, ''এখন থেকে সামনের দিনগুলোয় আমাদের দেশ আরো সমৃদ্ধ আর সম্মানজনক অবস্থানে উঠে আসবে।
আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে, আমেরিকাকে প্রথমে রাখা।"ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেন ট্রাম্প।"আমাদের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করা হবে, আমাদের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা হবে, পুনরায় ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা হবে""আমরা একটি গর্বিত, সমৃদ্ধশালী ও স্বাধীন জাতি তৈরি করার লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবো," বলেন মি. ট্রাম্প।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও ধনী রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে বলেও ভাষণে উল্লেখ করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ, বারাক ওবামা, ডেমোক্র্যাট নেতা হিলারি ক্লিনটন, সদ্য বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসসহ অনেক রাজনৈতিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।এর মধ্যে মি. বাইডেন এবং মিজ হ্যারিসকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিলো।অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, মেয়ে ইভাঙ্কা, ছেলে এরিক ট্রাম্পসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে।ছিলেন নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার স্ত্রী উষা ভ্যান্সও।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রভাবশালী অন্যান্য যারা উপস্থিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন: যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন,ইলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গ, জেফ বেজোস এবং লরেন সানচেজ।সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার কিছু পরে শপথ নেন ট্রাম্প।
শপথে তিনি সংবিধানকে "সংরক্ষণ ও রক্ষা করার" প্রতিজ্ঞা করেন।শপথ গ্রহণকালে মি. ট্রাম্পের কাছে দু'টি বাইবেল দেখা গেছে।এর মধ্যে একটি তার মায়ের দেওয়া এবং অন্যটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের ব্যবহৃত বাইবেল বলে জানা যাচ্ছে।মি. ট্রাম্পের কিছুক্ষণ আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা জেডি ভান্স।প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিন থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন মি. ট্রাম্প।অবৈধ অভিবাসীদেরকে দেশ থেকে বের করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে "সবচেয়ে বড় বিতাড়িতকরণ কর্মসূচি" গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মেক্সিকো দিসি সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন। সেই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্ত তথা মেক্সিকো সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সেনা বাহিনীকে সহযোগিতা করার নির্দেশনাও দেবেন।এছাড়া অভিবাসন সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী নীতির অবসান ঘটাবেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। এর ফলে দেশটির ফেডারেল অভিবাসন কর্তৃপক্ষ চাইলে গির্জা ও বিদ্যালয়গুলোতেও অবৈধ অভিবাসন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে পারবে।
তবে মি. ট্রাম্প "সবচেয়ে বড় নির্বাসন কর্মসূচি" গ্রহণের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেটি বাস্তবায়ন করতে হলে বিপুল অর্থ খরচ হবে। এর বাইরে বেশকিছু কারিগরি ও আইনি চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনকে।ক্ষমতায় বসার পর প্রথম কর্মদিবসে ট্রাম্প তার "মেক্সিকোতেই থাকুন" নীতি ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।২০১৭ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে তিনি অবৈধ অভিবাসন বিরোধী এই নীতি গ্রহণ করেছিলেন, যার ফলে তখন প্রায় ৭০ হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে মেক্সিকো সীমান্তে শুনানির অপেক্ষায় রাখা হয়েছিল। যদিও ওইসব আশ্রয়প্রার্থীদের কেউই মেক্সিকোর নাগরিক ছিলেন না।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির মাটিতে জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেকেই সেখানকার নাগরিক। কিন্তু ট্রাম্প মনে করেন যে, এটি একটি "হাস্যকর" আইন।আর সে কারণে এ দফায় হোয়াইট হাউজে ঢোকার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের দেড়শ বছরের পুরনো আইনটি বাতিল করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।তবে আইনটি বাতিল করা তার জন্য সহজ হবে না। কারণ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত।যুক্তরাষ্ট্রে 'টাইটেল ৪২' নামে একটি নীতি রয়েছে।
এই নীতি অনুযায়ী, নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি মনে করলে অভিবাসন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে পারে মার্কিন সরকার।সবশেষ করোনা মহামারির সময়ে এই নীতি প্রয়োগ করে দেশটিতে নতুন করে অভিবাসী ঢোকানো বন্ধ করা হয়েছিল।মি. ট্রাম্প ক্ষমতা নিয়ে আবারও এই নীতি প্রয়োগ করতে চান বলে জানা যাচ্ছে।মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে যে, এই লক্ষ্যে পূরণে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন এমন একটি রোগ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে, যার মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া মেনেই মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করা সম্ভব হবে।ড্রাগ কার্টেল তথা মাদক ব্যবসায়িদের সংগঠনকে "সন্ত্রাসী সংগঠন" ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।এক্ষেত্রে ড্রাগ কার্টেলকে "বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন" হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ফলে ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্যগুলো এদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি ব্যবহার করতে পারবে।এর আগে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস, আল-কায়েদা এবং তথা কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) কেও এই ক্যাটাগরিতেই সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।প্রথম দফায় হোয়াইট হাউজে যাওয়ার পর সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে আদেশ জারি করেছিলেন ট্রাম্প।
এরপর দেয়াল তৈরির কাজ শুরু হলেও সেটি পুরোপুরি শেষ হয়নি।ফলে এ দফায় ক্ষমতা এসে নিজের অসমাপ্ত কাজ শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।নিজ দেশের পণ্য উৎপাদনকারীদের সুবিধা দিতে আমদানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রিপাবলিকান দলের নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।২০১৭ সালে ক্ষমতায় বসার পরেও একই কাজ করেছিলের ট্রাম্প।তখন চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, যা পরে বাইডেন প্রশাসনও অব্যাহত রেখেছিল।এবার হোয়াইট হাউজে ফিরেই শুল্কহার আরও বাড়োতে চান ট্রাম্প।তিনি জানিয়েছেন যে, ক্ষমতা নিয়েই তিনি চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ এবং মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করবেন।এর বাইরে অন্য দেশগুলো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমদিনেই এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারেন ট্রাম্প।এ দফায় ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার ফলে ক্রিপ্টকারেন্সির ইতিহাসে নতুন এক যুগের সূচনা হবে বলে মনে করেন অনেকে।তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করার পর বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে।কেউ কেউ এটাও বিশ্বাস করেন যে, ক্ষমতা গ্রহণের পর মি. ট্রাম্প স্বর্ণ ও তেলের মজুদের মতো করে বিটকয়েন মজুদেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।এক্ষেত্রে একটি 'বিটকয়েন স্টকপাইল' করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকাকালে পরিবেশ ও জলবায়ু সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।আইনের কড়াকড়ি বাড়ানোর পাশাপাশি জলবায়ুখাতে বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দও দেওয়া হয়।
তবে ট্রাম্প অবশ্য এখন বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া অনেক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চাচ্ছেন।বাইডেনের শাসনামলে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে সরকারি ভূমি ও উপকূলে জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধান নতুন করে কূপ খনন বা ড্রিলিং নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।হোয়াইট হাউজে নিজের কর্মদিবসের নির্বাহী আদেশে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেন ট্রাম্প। এছাড়া নতুন বায়ু প্রকল্প নিষিদ্ধ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।এদিকে, এবার ক্ষমতা বসে পুনরায় প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন ট্রাম্প।এর আগে, ২০১৭ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করা আন্তর্জাতিক ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তিনি।
পরে ২০২১ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনেই চুক্তিতে পুনরায় যুক্ত হয়েছিলেন। ফলে এবার মি. ট্রাম্প আবারও ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনা ঘটে।ওই ঘটনায় পরবর্তীতে যারা সাজা পেয়েছেন, তাদের বড় অংশই ট্রাম্পের সমর্থক।
ফলে ক্ষমতায় বসার পরপরই তাদের অনেকে সাধারণ ক্ষমা পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
"আমি তাদের মধ্যে অনেককে ক্ষমা করতে আগ্রহী," গত গ্রীষ্মে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প।"তবে আমি সবার কথা বলতে পারি না, কারণ তাদের মধ্যে কয়েক জন সম্ভবত সীমা অতিক্রম করে ফেলেছিল," যোগ করেন তিনি।ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ গ্রেফতার হয়েছিল।রোববার নিজের বিজয় সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, ক্ষমতায় বসে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত শ্রেণিবদ্ধ বা গোপন নথিগুলো প্রকাশ করবেন।১৯৬৩ সালে ঘটা ওই হত্যাকাণ্ড ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' খুঁজে পাওয়া যায়। ফলে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে।
একইভাবে সিনেটর রবার্ট কেনেডি এবং নাগরিক অধিকারের বিষয়ে আন্দোলন চালানো নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ডের নথিগুলোও প্রকাশ করা হবে।নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিভিন্ন বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ 'একদিনের মধ্যে' শেষ করতে পারবেন।পুরোপুরিভাবে যুদ্ধের ইতি টানতে ছয় মাস সময় লাগতে পারে বলে এরপর জানিয়েছিলেন তিনি।তবে শপথ গ্রহণের পর প্রথম দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি-না, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।এছাড়া ঠিক কীভাবে যুদ্ধ থামানো হবে, সে বিষয়টিও খোলাসা করা হয়নি।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে কোটি কোটি ডলার সেনা অনুদান দিয়েছে, মি. ট্রাম্প সবসময়ই সেটির কড়া সমালোচক ছিলেন।ইউক্রেন আর রাশিয়ায় মি. ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পেতে যাওয়া কিথ কেলোগও সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান যে, ১০০ দিনের মধ্যে এই যুদ্ধ থামানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।এদিকে, মি. ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সাথে দেখা করতে চান এবং ট্রাম্পের সহযোগীরা ঐ বৈঠকের 'প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন'।সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকদের তালিকা থেকে সম্প্রতি কিউবার নাম বাদ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।ক্ষমতা নিয়ে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে কিউবার নাম পুনরায় তালিকায় যুক্ত করতে পারেন বলে ধারণা করছেন অনেকে।সেই সঙ্গে, ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।এই দেশ দু'টি আগেও ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রোধের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল রোটুন্ডায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেন ট্রাম্প। এরপর ওভাল অফিসে ফিরে শুরুতেই বাতিল করেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ।
এরমধ্যে আছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরাইলিদের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণাসহ একাধিক আদেশে সই করেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।যদিও বর্তমান সরকার তাদের নিজস্ব ব্যয় কমানোর জন্য বিশ্বের অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ থেকে ফিরে আসতে চায় তবুও সারা বিশ্বের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ তাদের দিকে চেয়ে আছে এটা ভাবা উচিত বলে গুণীজন মনে করেন । যুদ্ধে জর্জরিত দেশদেরকে তাদের কূটনৈতিক ক্ষমতা দিয়ে ফিরিয়ে আনা উচিত । সারা বিশ্ব হোক শান্তিময় এই কামনা হল সারা বিশ্বের মানুষের আর জঙ্গিবাদ মুক্ত হোক সারা বিশ্ব । এই স্লোগানকে এই সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের সব চাওয়া পাওয়া পূর্ণতা পাক। নতুন সরকারের কাছে এই প্রত্যশা বিশ্বের কোঠি কোঠি মানুষের।
লেখকঃ ড. আজিজুল আম্বিয়া, কলাম লেখক ও গবেষক। email: [email protected]
মন্তব্য করুন