বাংলাদেশ আজ দুই যুগের বেশি সময় ধরে নির্বাচন থেকে যোজন যোজন দূরে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তথা ছাত্র জনতা চায় একটি ভোটের ব্যবস্থা। অধিকারের কথা বলে ছাত্র, ছাত্রীরা হয়েছিলো রাজাকার আর এই অধিকারের কথা বলতেই লাশ হয়ে ফিরেছে হাজার হাজার ছাত্ররা।
একটি আন্দোলন কি হতে পারে তা ছাত্র জনতা ও সাধারণ মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। বারবার দেড় যুগ ধরে আওয়ামী লীগের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েও হাসিনা সরকার আমলে নেয়নি বরং অত্যাচার ও খুন করেছে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক জনগণকে।
তৈরি করেছে বিভাজন তা থেকে আঃলীগের আজ নিজেরাও রক্ষা পাচ্ছে না।
এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে দেশের জনগণ, ছাত্র জনতা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে এবং সারা বিশ্বের শুভেচ্ছাও এসেছে।
সেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনগনের আশা, আকাঙ্ক্ষা এবং প্রতিফলন আকাশচুম্বি। আরেক জন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল যাকে বিগত দিনে মানুষ দেখেছে সততার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে।
বাকিদের কাছেও জনগণ ভালো কাজ আশা করে। একটি দেশকে চাইলে এক, দুইজন দেশপ্রেমিক মানুষই পারে পরিবর্তন ঘটাতে। সেই এক দুই জন মানুষ হিসেবে দেশবাসী তাকিয়ে আছে এই দুই জন উপদেষ্টাদ্বয়ের দিকে। একটি সুন্দর, সচ্ছ নির্বাচন আজ গোটা জাতির আশা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একে পর এক নতুন নতুন আশা জানাচ্ছে ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
তারেক রহমানের এই প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি শক্ত হাতে দমন করতে হবে বিএনপির চাঁদাবাজী নেতাদের কারণ সেই সুযোগ নিতেই আবারও বিএনপি দমন চেষ্টায় ফিরে আসতে পারে পার্শ্ববর্তী দেশের গুপ্ত চরেরা।
জামায়েতী ইসলামী দল খুব শক্ত মনোবলে রয়েছে কিন্তু ১/১১ মতন আবারও একক মনোবলে থেকে পরবর্তীতে জামায়েত নিজের বিপদ নিজেই না ডেকে আনে। আবারও বলতে হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় সরকারের যে প্রস্তাব দিচ্ছে সেটাই উচিত হবে সকল দলের একাত্মতা জানানো।
আমরা যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রবাস থেকে ঐক্যবদ্ধ পূর্বের মতো। বাংলাদেশের জন্য আমরা সর্বচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত। ১৮ই নভেম্বর সোমবার লন্ডনের প্রান কেন্দ্রে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস এর উদ্যোগে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ, দ্রুত নির্বাচন, যৌথ বাহিনীর সরাসরি গুলিতে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ,কবে ফিরবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের আমলে গনতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী রাজনীতিবীদের কে হয়রানী বন্ধ,দ্রত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তার আলোচনায় রাকেশ রহমান এই বক্তব্য দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ছাত্রনেতা ছদরুল ইসলাম লোকমান ও সভার পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মিনহাজুল আবেদিন রাজা। অনুষ্ঠানের আরে বক্তব্য দেন বিভিন্ন নেতারা।
লেখক, কলামিস্ট ও যুগ্ম মহাসচিব বাংলাদেশ লেবার পার্টি
মন্তব্য করুন