শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন

গণজাগরণে নারীর ভূমিকা, অধিকার এবং শিক্ষার পুনর্গঠন

রহমান মৃধা|
  ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৫৬ | GMT +6

স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকে বাংলাদেশ এক স্বপ্নতাড়িত দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন আজও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। একটি দক্ষ ও সুশিক্ষিত নাগরিক সমাজ গঠন করার জন্য কার্যকর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন, যা আমরা এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। দেশের প্রতিটি উন্নয়ন-রূপকল্পের ভিত্তিতে রয়েছে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের প্রতিধ্বনি। তবে দক্ষ ও সুশিক্ষিত সমাজ গঠন না করলে এই উন্নয়ন-রূপকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

মানুষের প্রথম চাহিদা এখন সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকের ভূমিকাই প্রধান। শ্রেণিকক্ষে যুগোপযোগী শিক্ষা সঞ্চারণ করতে হলে শিক্ষকদের নিতে হয় নিত্যনতুন প্রস্তুতি, আর এজন্য প্রয়োজন যথাযথ প্রশিক্ষণ। প্রশ্ন হলো, আমাদের শিক্ষকরা কি সে মানের প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন? তারা কি আদৌ প্রস্তুত?

সব শিক্ষার্থীই কোনো না কোনো গুণে সমৃদ্ধ। শিক্ষা সবার জন্মগত অধিকার এবং এই অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু শুধুমাত্র সুযোগ দিলেই হবে না, নিশ্চিত করতে হবে তারা যেন মানসম্পন্ন শিক্ষা পায়। আর ভালো শিক্ষক ছাড়া ভালো শিক্ষা অসম্ভব।

যদি দুর্নীতি, কোটা এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে আমরা ভালো শিক্ষক কোথায় পাব? প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার একমাত্র বাহক শিক্ষক সমাজ যদি মজবুত না হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা কি নির্বিঘ্নে তাদের শিক্ষাজীবন পার করতে পারবে? শিক্ষকদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ।

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে, নারীরাও পুরুষদের পাশাপাশি নেতৃত্বে থাকবে এবং মুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে এক নতুন বাংলাদেশ, যেখানে সকলেই সমান সুযোগ এবং মর্যাদার সাথে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে।

আমি এই লেখায় দুটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করব। প্রথমত, গণজাগরণে নারীর ভূমিকা ও অধিকার এবং দ্বিতীয়ত, প্রশিক্ষণে দুর্নীতিযুক্ত সিন্ডিকেটের প্রভাব এবং কীভাবে সেটি পুনর্গঠন করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের বর্তমান গণজাগরণে নারীদের ভূমিকা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও মুক্তিযুদ্ধের নতুন পর্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা এখন শুধুমাত্র পরিবারের দায়িত্ব পালনে সীমাবদ্ধ নেই, বরং সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমানভাবে অংশগ্রহণ করছেন। এই গণজাগরণের সাফল্যের চাবিকাঠি হলো নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।

নারীদের সক্রিয়তা সমাজের বিভিন্ন স্তরে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করেছে। তারা আজ রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে শুরু করে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা তাদের সমাজের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।

আমরা চাই, নারীরা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমানভাবে নেতৃত্ব দিক—প্রশাসন, রাজনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি, সর্বক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের অবদানকে সম্মানিত করতে হবে, কারণ একটি জাতির প্রকৃত উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন সেই জাতির অর্ধেক, অর্থাৎ নারীরা, তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা অনুযায়ী কাজ করতে পারে।

আজকের বাংলাদেশে নারীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করছেন। তবে তাদের পথচলা এখনও সহজ নয়। নারীদের জন্য শুধু নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ নয়, বরং তাদের অংশগ্রহণকে আরও উৎসাহিত করতে হবে এবং ক্ষমতায়নের পথে আরও অগ্রসর হতে হবে।

এখন নারীরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উদ্যোক্তা, এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেক্টরে সফলতা অর্জন করছেন। তবে এ সাফল্য সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হলে শুধুমাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, মানসিকতারও পরিবর্তন প্রয়োজন। নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্ত করতে হবে, যেন তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন।

প্রশিক্ষণে দুর্নীতিযুক্ত সিন্ডিকেটের প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা গভীর সংকটে রয়েছে। এখন কীভাবে সেটি পুনর্গঠন করা যেতে পারে! শিক্ষা একটি পবিত্র প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি জাতি তার ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে শিক্ষার সেই প্রকৃত উদ্দেশ্য হারিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে সিন্ডিকেটের জাল শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।

শিক্ষার কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। ‌‘জানা থেকে শেখা’ পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে, যা শিক্ষার্থীদের শুধু তথ্য নয় বরং চিন্তা করার ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ করে দেয়।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে হবে, কারণ শিক্ষা কেবল জীবিকার মাধ্যম নয়, বরং এটি জীবনকে সমৃদ্ধ করে, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে এবং একজনকে সৎ ও নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানবিক গুণাবলী এবং নৈতিকতা বিকাশ করা। এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন যা শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র চাকরির জন্য যোগ্য করে তোলার পাশাপাশি তাদেরকে সৎ, দায়িত্বশীল, এবং নৈতিক ব্যক্তি হিসেবে তৈরি করবে।

বাংলাদেশে মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য কয়েকটি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রথমত, মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ এবং তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, দেশে এখনো সেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি, যার ফলে প্রাইমারি, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলি যথেষ্ট কার্যকর হচ্ছে না। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন শিক্ষা বিস্তারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।

এছাড়া, দেশের শিক্ষানীতির নানা অসংগতি ও আধুনিক চাহিদা মেটাতে এর অপর্যাপ্ততা শিক্ষার মান বৃদ্ধির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা এখনও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি এবং বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী প্রতিটি স্তর থেকে নিয়মিতভাবে ঝরে পড়ছে। এই হার কোনো কোনো স্তরে প্রায় এক চতুর্থাংশ, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। নিম্নলিখিত কিছু সুপারিশ এই সমস্যার সমাধানের জন্য কাজে আসতে পারে

১) শিক্ষক প্রশিক্ষণ উন্নয়ন: দেশের বিদ্যমান শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা বিজ্ঞানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগসহ আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো দ্রুত গড়ে তুলতে হবে।

২) প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ: সকল স্তরের শিক্ষকদের নিয়মিত ও কার্যকর প্রশিক্ষণের জন্য আরও বেশি শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।

৩) পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধান: মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধানের জন্য আরও কার্যকর এবং জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। এজন্য সরকার, সুধীজন, শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ এবং শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।

৪) প্রশিক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি: সকল স্তরের শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনার গুরুত্ব সংশ্লিষ্ট সকলকে উপলব্ধি করাতে হবে। এজন্য প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন এবং এর পরবর্তী ফলোআপ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে, বাংলাদেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব হবে এবং আমরা সুশিক্ষিত ও নৈতিকতায় পরিপূর্ণ নাগরিক গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে এবং আধুনিক বিশ্বের প্রয়োজনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে তুলতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

প্রথমত, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ পুনর্গঠন। এ জন্য সরকারের কাছে জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষা দেশের সমৃদ্ধির অন্যতম মূল চাবিকাঠি, তাই একে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি, শিক্ষার জন্য গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে হবে।

আমাদের সমাজে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং শিক্ষার গুণগত পরিবর্তন নিয়ে খুব কম আলোচনা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। এখনও প্রাচীন শিক্ষাদান পদ্ধতি বহাল রয়েছে, যা দেশে অন্ধকার ও বেকারত্ব নিয়ে আসছে। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ‘জানার জন্য শিক্ষা গ্রহণ’ এবং সেই জ্ঞানকে জীবনে প্রয়োগ করার ক্ষমতা অর্জন করা। শিক্ষকেরা এই সুশিক্ষার মূল কারিগর, তাই তাদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে সরকার, শিক্ষক এবং সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাকে কেবল চাকরির যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে নয় বরং নৈতিকতা, সততা এবং মানবিক গুণাবলী বিকাশের হাতিয়ার হিসেবে দেখতে হবে।

আজকের প্রজন্ম অত্যন্ত সচেতন এবং তারা জানে যে দেশের উন্নতি কেবল ন্যায় ও নৈতিকতার পথে সম্ভব। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ তরুণ প্রজন্মের উদ্যম ও সৃষ্টিশীলতাকে ব্যর্থ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। তাই তরুণদের জন্য একটি স্বচ্ছ, সৃজনশীল এবং মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের।

যারা সত্যের পথে জীবন দিয়েছেন, তারা হয়েছেন শহীদ; আর যারা মিথ্যার পথ বেছে নিয়েছেন, তারা দুর্নীতির চক্রে ফেঁসে গিয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এই বাস্তবতা নতুন প্রজন্মকে বুঝতে হবে এবং দেশের উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

আস্থা রাখি এই প্রজন্মের ওপর। তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে পারব, যা বিশ্বে উন্নত জাতি হিসেবে নিজের স্থান করে নিতে সক্ষম হবে। এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে আমাদের এখনই কাজ শুরু করতে হবে।

রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।  
[email protected]

মন্তব্য করুন