শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

গণতন্ত্র বাঁচুক

ওমর ফারুক হিমেল
  ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৩৮

গণতন্ত্র কেবল শাসনব্যবস্থা নয়—এটি একটি আত্মা, একটি সংস্কৃতি। যার প্রাণশক্তি হলো মতের স্বাধীনতা, ভিন্ন কণ্ঠের সহাবস্থান। আর সেই গণতন্ত্রে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা মানে, সেই প্রাণশক্তিতেই আঘাত হানা।

‘অন্ধকার কখনো অন্ধকারকে দূর করতে পারে না, শুধু আলোই তা পারে। ঘৃণা কখনো ঘৃণাকে জয় করতে পারে না, শুধুই ভালোবাসা পারে।’ — মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র!

‘নেতিবাচকতাকে ইতিবাচকতায় রূপান্তর করতে পারলেই প্রকৃত বিজয় অর্জিত হয়।’ যেখানে ঘৃণা, সেখানে ভালোবাসা ছড়িয়ে দাও! আমি কোনো দলের সমালোচনা করতেই পারি, তাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারি। কিন্তু নিষিদ্ধ করার কথা? না, কখনোই নয়।

কারণ আমি বিশ্বাস করি—গণতন্ত্র মানে একদল নয়, সকল দলের অংশগ্রহণ। গণতন্ত্র মানে নিজের কণ্ঠের মতো অন্যের কণ্ঠকেও বাঁচিয়ে রাখা। গণতন্ত্র মানে মতের বহতা নদী—যেখানে মিলেমিশে তৈরি হয় সমাজের সমুদ্র।

হ্যাঁ, ভুল হয়েছে। কিন্তু ভুলের জবাব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নয়—হোক সেটা জবাবদিহিতার মাধ্যমে, জনগণের রায়েই হোক বিচার।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দিলে আমরা কেবল তাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করি না, নিজের গণতন্ত্রকেও সংকীর্ণ করে ফেলি। যে গণতন্ত্রে বিরোধী কণ্ঠ থাকতে পারে না, তা গণতন্ত্র নয়—তা ছদ্মবেশী একনায়কতন্ত্র। কিছু অমোঘ উচ্চারণ যা আমাকে ভাবায়—

‘আমি তোমার বক্তব্যের সাথে একমত না হলেও, তুমি সেই বক্তব্য প্রকাশের অধিকার রাখো—এজন্য আমি প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।’ – ভলতেয়ার

‘যেখানে বাকস্বাধীনতা নেই, সেখানে গণতন্ত্র নিছক মুখোশ মাত্র।’ – টমাস জেফারসন। ‘গণতন্ত্রের সৌন্দর্য এখানেই—সব কণ্ঠের জায়গা হয়, সব মতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে।’

তাই আমি বলি—নিষিদ্ধ নয়, হোক প্রতিযোগিতা নীতির ময়দানে। নিপীড়ন নয়, হোক প্রতিপক্ষকে শ্রদ্ধা দিয়ে মোকাবিলা।
গণতন্ত্র বাঁচুক, সব কণ্ঠ বাঁচুক। কারণ, সত্যিকারের গণতন্ত্র মানেই—সব নদীর মিলন, একসাথে বয়ে চলা, স্বাধীন আর স্বচ্ছ।

মন্তব্য করুন