ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলিম উম্মাহর ত্যাগ ও রক্তের ভূমিকা অপরিসীম। ইতিহাস সাক্ষী, প্রতিটি স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মত্যাগ ও রক্ত বিসর্জন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, কূটনৈতিক সমর্থন, অর্থনৈতিক সহায়তা এবং সর্বোপরি আত্মত্যাগের মানসিকতা ফিলিস্তিনিদের বিজয়ে সহায়তা করতে পারে। তাই, রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে মুসলমানদের ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০,৩৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১৪,৪০০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলায় বেশিরভাগ হতাহত নারী ও শিশু। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে নতুন করে হামলা জোরদারের পরিকল্পনা করছে, যা আরও বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়াচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সমস্ত সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমানা অনুসারে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও, ঝিনাইদহ, নীলফামারী, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের উত্তর প্রদেশে সাকিব খান নামে বিদ্যুৎ বিভাগের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে ঈদের দিন ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোর অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়েছে এবং আরও দুই কিশোর আহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে তারা মহাসড়কের দিকে পাথর নিক্ষেপ করছিল, যা তাদের 'সন্ত্রাসী' কার্যক্রম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ইসরায়েল সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। এই হামলার পেছনে নিম্নলিখিত কারণসমূহ উল্লেখযোগ্য: হামাসের রকেট হামলা: ইসরায়েল দাবি করেছে যে হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট নিক্ষেপ করছে, যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
সন্ত্রাসবাদ দমন: ইসরায়েল গাজার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে চায় এবং তাদের সামরিক ক্ষমতা দুর্বল করতে চায়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকাকে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন এবং সেখানে মার্কিন শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছেন। তিনি গাজাকে "অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড" হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং সেখানে পুনর্গঠন করে "মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা" তৈরির কথা বলেছেন। তবে এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে, যা সমালোচকদের মতে জাতিগত নির্মূলের শামিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের প্রস্তাবকে "সাহসী দৃষ্টি" হিসেবে প্রশংসা করেছেন, তবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে এই প্রস্তাব নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এদিকে আরব লীগ ইসরায়েলের গাজা আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার দাবি করেছে। আরব লীগ গাজা, পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আরব লীগ সদস্য দেশগুলোকে ইসরায়েলের সাথে অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে, উল্লেখ করে যে এই সম্পর্ক বজায় রাখা গাজার উপর ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করার সমতুল্য।
এছাড়া আরব লীগ গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের যেকোনো পরিকল্পনাকে "জাতিগত নির্মূল" হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং এর বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। সার্বিকভাবে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত প্রস্তাব এবং আরব দেশগুলোর কঠোর প্রতিক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামে হামাস এবং অন্যান্য ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
তাদের কার্যক্রম ও অবস্থান সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: হামাসের ভূমিকা: হামাস (ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন) ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি ফিলিস্তিনি সুন্নি ইসলামি সংগঠন, যা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে সক্রিয়। তারা গাজা উপত্যকায় রাজনৈতিক ও সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং ২০০৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জউদ্দিন আল-কাসাম ব্রিগেড ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধে জড়িত। ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের ভূমিকা:ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদ (পিআইজে) একটি ইসলামি গোষ্ঠী, যা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধে অংশগ্রহণ করে।
তারা হামাসের সাথে মিলে ইসরায়েলের সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা পরিচালনা করে এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির জন্য কাজ করে। সাম্প্রতিক ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে, হামাস এবং পিআইজে ইসরায়েলের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় রকেট হামলা চালিয়েছে। তারা এই হামলাগুলোকে আল-আকসা মসজিদের অবমাননা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের নির্যাতনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করেছে। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: হামাসের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কিছু আরব রাষ্ট্র হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক সীমিত বা বন্ধ রেখেছে। অপরদিকে, কিছু দেশ ও সংগঠন হামাসকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের বৈধ অংশ হিসেবে দেখে এবং তাদের সমর্থন করে। সার্বিকভাবে, হামাস ও অন্যান্য ইসলামি গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফিলিস্তিন অঞ্চলটি মুসলমান ও ইহুদিদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের ধর্মীয় ইতিহাস ও বিশ্বাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। মুসলমানদের জন্য ফিলিস্তিনের গুরুত্ব: ১। মসজিদ আল-আকসা: জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদ আল-আকসা ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। এটি মুসলমানদের প্রথম কেবলা ছিল এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) মেরাজের রাতে এখান থেকে আসমানে গমন করেন। ২। নবীদের স্মৃতিবিজড়িত ভূমি: ফিলিস্তিনে বহু নবী ও রাসূলের স্মৃতি রয়েছে এবং এটি ওহি (আল্লাহর বার্তা) অবতরণের স্থান হিসেবে পরিচিত। ৩। ইসলামী সংস্কৃতির কেন্দ্র: ফিলিস্তিন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মুসলিম উম্মাহর ঐতিহ্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিনের গুরুত্ব:১। প্রতিশ্রুত ভূমি: ইহুদি ধর্মমতে, ফিলিস্তিন তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতিশ্রুত ভূমি, যেখানে তারা ঐতিহাসিকভাবে বসবাস করেছে এবং তাদের ধর্মীয় ইতিহাসের মূল ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ২। জেরুজালেমের মন্দির: জেরুজালেমে অবস্থিত প্রাচীন মন্দির (টেম্পল) ইহুদিদের পবিত্র স্থান, যা তাদের ধর্মীয় উপাসনার কেন্দ্র ছিল। ৩। জাতীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়: ফিলিস্তিন ইহুদিদের জাতীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত, যা তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সারসংক্ষেপে, ফিলিস্তিন মুসলমান ও ইহুদিদের জন্য ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা এই অঞ্চলের প্রতি তাদের গভীর আবেগ ও সংযুক্তির কারণ। মুসলিম উম্মাহর সাফল্য ও বিজয়ের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে: ১। ইসলামের মৌলিক শিক্ষায় দৃঢ়তা: মুসলমানদের উচিত কুরআন ও সুন্নাহর শিক্ষায় নিজেদের দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা। আল্লাহ তা'আলা বলেন: "আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না।" ইসলামের শিক্ষা ও মূল্যবোধ অনুসরণ করে ন্যায়বিচার, সহনশীলতা ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি। এতে মুসলিম উম্মাহর নৈতিক ভিত্তি মজবুত হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন অর্জন সহজ হবে। ২. ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা: উম্মাহর মধ্যে বিভেদ ও দলাদলি পরিহার করে পারস্পরিক ঐক্য স্থাপন করা জরুরি।
বিভিন্ন দলে বিভক্তি মুসলিমদের দুর্বল করে তোলে এবং শত্রুদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে। ৩। ন্যায় ও সৎকর্মে সহযোগিতা: মুসলমানদের উচিত সৎকর্ম ও তাকওয়ায় একে অপরকে সহায়তা করা এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে সহযোগিতা না করা। আল্লাহ বলেন: "আর তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ায় পরস্পরকে সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অপরকে সাহায্য করো না।" ৪. ইসলামী মূল্যবোধের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা: সমাজে ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রচার এবং প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।
এজন্য ব্যক্তিগত ও সামাজিক পর্যায়ে ইসলামের শিক্ষা অনুসরণ করা জরুরি। ৫. জ্ঞান অর্জন ও শিক্ষার প্রসার: ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন এবং তা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া মুসলমানদের দায়িত্ব। শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে উম্মাহর বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নতি সাধন করা যেতে পারে। ৬. নৈতিকতা ও চরিত্র গঠন: ব্যক্তিগত জীবনে উচ্চ নৈতিকতা ও সৎ চরিত্র গঠন করে মুসলমানরা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা ইসলামের সুমহান আদর্শকে প্রতিফলিত করে। ৭ . অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা প্রদান: ফিলিস্তিনের জনগণকে অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা প্রদান করে তাদের জীবনমান উন্নত করা এবং ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। ৮। গণসচেতনতা ও মিডিয়া প্রচারণা: ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা বৃদ্ধি করতে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে।
এর মাধ্যমে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্দশা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রচার করা সম্ভব। ৯. শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ ও বয়কট আন্দোলন: ইসরায়েলের পণ্য ও সেবা বয়কট করে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপে রাখা যেতে পারে। ১০. সামরিক সক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন: ফিলিস্তিনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সামরিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে, যা তাদের আত্মরক্ষা ও প্রতিরোধে সহায়ক হবে। সার্বিকভাবে, ঐক্য, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, অর্থনৈতিক সহায়তা, গণসচেতনতা, শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ইসলামী শিক্ষায় দৃঢ়তার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের যুদ্ধে মুসলমানরা সাফল্য অর্জন করতে পারে।
পরিশেষে বলতে চাই, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, আত্মত্যাগ এবং অবিচল প্রতিজ্ঞা অপরিহার্য। ইতিহাস সাক্ষী, প্রতিটি স্বাধীনতা সংগ্রামে রক্ত ও ত্যাগের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে, মুসলমানদের উচিত কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করা। একইসাথে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন অর্জনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এই সংগ্রামে সংহতি ও সহমর্মিতার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের জনগণ তাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জন করবে, ইনশাআল্লাহ।
লেখকঃ ড. আজিজুল আম্বিয়া, কলাম লেখক ও গবেষক email:[email protected]
মন্তব্য করুন