বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩২

জার্মানির চ্যান্সেলরের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:১৩
ছবি-সংগৃহীত

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সামিটের সাইডলাইনে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। 

রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সামিটে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেলে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সুইজারল্যান্ড পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জেনেভায় জাতিসংঘের দপ্তরগুলোয় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানায়। 

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত একটায় জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা। চার দিনের সফর শেষে ২৫ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন তিনি।

রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। 

এর মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর, ফিনল্যান্ডের চ্যান্সেলর, বেলজিয়ামের রাজা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। এই চারজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্মেলনে এবার ‘বাংলাদেশবিষয়ক’ আলাদা সংলাপ হবে। বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বা ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই সংলাপে যোগ দেবেন। 

এই সংলাপ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিরল সুযোগ। উন্নত দেশগুলোই এমন ফোরামে এ ধরনের সংলাপের সুযোগ পায়। বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো এই বিরল সুযোগ পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে ‘আত্মবিশ্বাসী’ করতে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর সহায়ক হবে বলে উল্লেখ করেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে থাকবে। 

নিকট অতীতেও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিনিয়োগকারীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যখন দেখা করেছিলেন, তখনো তাদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ছিল। 

আন্তর্জাতিক এই ফোরামেও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান থাকবে, বাংলাদেশে আসুন। বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ সহজ করা হচ্ছে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নততর হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতিতে শামিল হোন।

মন্তব্য করুন