বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

১ বছরে সৌদি গেছেন ৩ লাখ ৭৪ হাজার বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৯
ছবি-সংগৃহীত

বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের কাছে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। চলতি বছরের শুরু থেকেই গালফ অঞ্চলের পশ্চিম এশিয়ার এ দেশে দক্ষ শ্রমিকদের অভিবাসন বেড়েছে। 

এ বছর বিদেশে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে রেকর্ড ৩ লাখ ৭৪ হাজার জনই গেছেন সৌদি আরবে।

সম্প্রতি আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সর্বশেষ তথ্য উল্লেখ করে আরব নিউজ জানিয়েছে, বর্তমানে মালয়েশিয়া ও কাতারের পরই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী রয়েছেন সৌদি আরবে।

বিএমইটির অতিরিক্ত সচিব শাহ আবদুল তারেক বলেছেন, বেশ কয়েকটি চলমান গিগা প্রকল্পের কারণে সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য উচ্চ চাহিদা রয়েছে। সম্প্রতি আমরা দক্ষ কর্মী রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছি। আমাদের অনেক নির্মাণশ্রমিক দক্ষ ক্যাটাগরিতে সৌদি আরবে যান। অনেক চালক এবং ইলেকট্রিশিয়ানও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে সে কাজ করছেন।

‘ভিশন-২০৩০’ বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অধীনে বেশ কয়েকটি গিগা প্রকল্প চালু করেছে সৌদি আরব। এসব প্রকল্পের মধ্যে বিলিয়ন ডলারের নিওম স্মার্ট সিটিও রয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এসব প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করছেন।

সৌদি শ্রমবাজারে কর্মীদের পেশাগত যোগ্যতাকে এগিয়ে নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে একটি দক্ষতা যাচাই কার্যক্রম চালু করেছে দেশটি। এই কার্যক্রমটি প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান এবং নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। পাশাপাশি সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের জন্য সম্ভাব্য বাংলাদেশি কর্মীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ১৫০টি কেন্দ্র স্থাপন করেছে বাংলাদেশের বিএমইটি কর্তৃপক্ষও।

বিএমইটির অতিরিক্ত সচিব শাহ আবদুল তারেক বলেন, আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ও লজিস্টিকস দিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে আরো প্রস্তুত করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আমাদের প্রাইভেট সেক্টর রিক্রুটিং এজেন্টরা সৌদি গিগা-প্রকল্পের সঙ্গে আরো যুক্ত হতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, আগামীতে সৌদিতে আমাদের দক্ষ জনশক্তি রফতানি বাড়বে।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকরা সৌদি আরবকে বেছে নিচ্ছেন। দক্ষ বাংলাদেশি অভিবাসীদের আইটি এবং আর্থিক খাতেও নিয়োগ করা হচ্ছে। কারণ, সৌদি আরব নিজেকে অত্যাধুনিক ডিজিটাল অবকাঠামোসহ একটি বৈশ্বিক বিনিয়োগ শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।

মন্তব্য করুন