শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১

সার্কিট হাউজের ভাড়া বাড়লো

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪২

জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত আবাসন সুবিধা সার্কিট হাউজের ভাড়া ১১৪ শতাংশ বাড়িয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। ২০১২ সালের পর এটি প্রথমবারের মতো ভাড়া সংশোধন। জেলা প্রশাসকদের এই হার কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

বুধবার (৩০ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সারাদেশে সার্কিট হাউসের নতুন ভাড়া ঘোষণা করা হয়েছে। 

নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা ন্যূনতম ১৫০ টাকায় এক শয্যার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম ব্যবহার করতে পারবেন, যা পূর্বে ছিল ৭০ টাকা। দুই শয্যার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ টাকা।

তবে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে চিহ্নিত দেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ও গাজীপুর শহরে এই ভাড়ার পরিমাণ আরেকটু বেশি। এসব এলাকায় এক শয্যার রুমের নতুন ভাড়া ২০০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৯০ টাকা। দুই শয্যার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমের ভাড়া ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১৭০ টাকা।

এই হারের ভাড়া এক থেকে তিন দিনের অবস্থানের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে চার থেকে সাত দিন বা সাত দিনের বেশি অবস্থানের ক্ষেত্রে আরো বেশি ভাড়া প্রযোজ্য হবে।

একইভাবে, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, কর্পোরেশন এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জন্য ভাড়াও সামান্য বেশি নির্ধারিত হয়েছে। তাদের জন্য এক শয্যার রুমের ভাড়া বর্তমানে ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ৯০ টাকা। দুই শয্যার রুমের ভাড়া এখন ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা। উচ্চ খরচের এলাকাগুলোতে সার্কিট হাউস ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই শ্রেণির কর্মকর্তাদের বাড়তি ব্যয় করতে হবে।

আর বেসরকারি ব্যক্তিদের সব শহরের সার্কিট হাউসে এক শয্যার এসি রুমের ভাড়া দিতে হবে ১৫০০ টাকা ও দুই শয্যা বিশিষ্ট এসি রুমের ভাড়া দিতে হবে ১৮০০ টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সার্কিট হাউজের ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বেশি ব্যবহার করেন সেটি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে দেখা গেছে, তদন্ত, পরিদর্শন কাজে জেলা পর্যায়ে বেশি ভ্রমণ করেন নবম থেকে ষষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তারা। তাদের আয় স্তর এবং প্রধান খরচের ক্ষেত্রগুলো এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় বিবেচনায় আনা হয়েছে।

এছাড়াও, দৈনিক ভাতা ও যাতায়াত ভাতার ক্ষেত্রে সরকারের সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোকেও বিবেচনা করা হয়েছে। নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার মতামতও বিবেচনা করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন