বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

আজমেরী ওসমানের সেই টর্চারশেলে র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত মেধাবী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় তদন্ত সংস্থা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব আজমেরী ওসমানের সেই টর্চারশেলের জায়গা ও মরদেহ ফেলার স্থান শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খালের তীর পরিদর্শন করেছেন।  

বুধবার বেলা ১১টার দিকে র‌্যাব-১১ এর একটি দল ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি সাফায়েত হোসেন শিপনকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ রোডে অবস্থিত সাবেক সংসদ সংদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের টর্চারশেল উইনার ফ্যাশন এলাকায় যান। 

পরে যে স্থানে ত্বকীর লাশ ফেলা হয়েছে সেই শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খালের পাড় পরিদর্শন করেন। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে র‌্যাব-১১ এর সিও লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ২০১৩ সালে ত্বকীকে হত্যা করা হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এর তদন্ত করছি। মাঝখানে এটির তদন্ত কিছুটা স্থবির থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুনরায় তদন্তের  গতি পেয়েছি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমরা র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সের সহায়তা পাচ্ছি। 

ত্বকী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত পাঁচ আসামিকে গত কয়েক দিনে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তার জবানবন্দিতেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা বেশকিছু তথ্য পেয়েছি। এছাড়া এর আগে এ হত্যা মামলায় অপর দুই আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর ও লিটন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আজ আমরা এসেছি ত্বকীকে যেখানে হত্যা করা হয় ও হত্যার পর লাশ যেখানে ফেলা হয় সেসব স্থানে। তদন্তের স্বার্থেই প্রতিটা জায়গা আমরা পরিদর্শন করছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এ ঘটনায় একটি সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) আদালতে জমা দিতে পারব। 

তিনি বলেন, আজমেরী ওসমানের বন্ধু ও শহরের মেলা ফুড ভিলেজের মালিক আটককৃত শিপন আমাদের হেফাজতে আছে, তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সে আমাদের বিভিন্ন জায়গা দেখিয়ে দিচ্ছে। আমরা যতটুকু সংবাদ পেয়েছি সে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকালে বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে অপহরণ করে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। একদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যায় মেলে ত্বকীর লাশ। এ ঘটনায় ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ত্বকী হত্যার সঙ্গে ওসমান পরিবারের সদস্যরা জড়িত আছেন বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে তার পরিবার। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।

মন্তব্য করুন