শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

সংগীতশিল্পী মনোজ আচার্যীর মৃত্যুতে ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব পরিবারের শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৩
ছবি-সংগৃহীত

চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ, সু-মধুর কণ্ঠের অধিকারী স্বদেশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর অধ্যক্ষ, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মনোজ আচার্যীর মৃত্যুতে ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রবাহ বাংলার সম্পাদক মিরন নাজমুল এবং প্রকাশক জমির হোসেন শোক জানিয়েছেন।
 
শনিবার এক শোকবার্তায় জমির হোসেন মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তায় জমির হোসেন বলেন, ‘তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার একজন মানুষ। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মনোজের অবদান অনস্বীকার্য। তার মৃত্যুতে চাঁদপুর সংস্কৃতি অঙ্গন এক মেধাবী সন্তানকে হারালো। তিনি কুমিল্লা বেতারের একজন এনালিস্ট সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। একাধারে সুরকার ও গীতিকার ছিলেন। 

জমির শোকের সাথে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, চাঁদপুর বিজয় মেলার মঞ্চে গুণী এ শিল্পী আমার কিশোর জীবনে একটি দেশাত্মবোধক গান সুর করেন। যার শিরোনাম, দেশটা গড়তে এসো সবুজ শ্যামল দেশটা, সবাই মিলে ভালোবাসো অন্যায় করোনা তোমরা, নিষ্পাপ থেকো তোমরা। আমার জীবনে এত ছোট বয়সে আমার গান সুর করে বিরাট উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি যা আমার জন্য বিরাট এক প্রাপ্তি। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলে তা শেষ হবে না।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় চাঁদপুর শহরের নতুন বাজারস্থ আদালত পাড়ার ভাড়া একটি বাসায় মৃত্যুবরণ করেন
বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী মনোজ আচার্যী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

প্রয়াত শিল্পীকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার জন্যে সাংস্কৃতিক নেতা থেকে শুরু করে সর্বমহলের সুধীজন তার বাসায় যান। এ সময় তার প্রাণপ্রিয় সংগঠন স্বদেশ সাহিত্য সংগঠনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নেতা-কর্মীসহ অনেকে অশ্রুসিক্ত হন।

উল্লেখ্য, প্রয়াত মনোজ আচার্যী দীর্ঘদিন যাবত কিডনি, হার্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি সুস্থতার জন্য ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

মন্তব্য করুন