পুষ্টির জগতে ফ্যাট বলতেই আমরা একটু দূরে সরে যাই। কারণ স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই ফ্যাট থেকে দূরে থাকা- এমনটাই ধারণা অনেকে। আসলে সত্যিটা হলো, সব ফ্যাট খারাপ নয়! বরং কিছু ফ্যাট আছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপকারী। কোষের বৃদ্ধি, স্নায়ুকে রক্ষা করে ইত্যাদি কাজে লাগে এই গুড ফ্যাট। রক্ত জমাট বাঁধা, পেশী চলাচল এবং এমনকী প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের মতো কাজেও এ ধরনের ফ্যাট কার্যকরী।
রাসায়নিকভাবে সমস্ত ফ্যাট কার্বন এবং হাইড্রোজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত, তবে পার্থক্যটি তাদের গঠনের মধ্যে রয়েছে। ফ্যাট চেইনের দৈর্ঘ্য এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর সংখ্যা নির্ধারণ করে যে তারা কীভাবে কাজ করে। সমস্ত ফ্যাটেই প্রতি গ্রাম ৯ ক্যালোরি থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের মতোই, আপনি যে অতিরিক্ত ফ্যাট পোড়াবেন না তা শরীরে চর্বি হিসাবে জমা হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গুড ফ্যাট কোনগুলো-
১. আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট : এ ধরনের ফ্যাট স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তরল থাকে এবং কোলেস্টেরল কমাতে, প্রদাহ কমাতে এবং হৃদযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ধরনের ফ্যাট বেশিরভাগ পাওয়া যায় উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারে। তাই সুস্থতার জন্য আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার বেছে নিন। তবে পরিমাপ জেনে খেতে হবে। প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজনীয় অংশই গ্রহণ করবেন।
২. মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট : জলপাই তেল, চিনাবাদাম তেল, অ্যাভোকাডো এবং বাদাম এবং পেকানের মতো খাবারে পাওয়া যায় এই মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। কুমড়া এবং তিলের মতো বীজও এই ফ্যাটের দুর্দান্ত উৎস। তাই মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার আপনার জন্য ক্ষতিকর নয় বরং নানাভাবে কার্যকরী।
৩. পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট : সূর্যমুখী, ভুট্টা, এবং তিলে তেলে থাকে এই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। আখরোট, শণের বীজ, মাছ এবং এমনকি ক্যানোলা তেল (যাতে মনো এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট উভয়ই রয়েছে) আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে।
৪. ওমেগা-৩ ফ্যাট : এগুলো হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে দুর্দান্ত এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। যেহেতু আমাদের শরীর ওমেগা-৩ তৈরি করে না, তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এই ফ্যাটযুক্ত খাবার রাখা অত্যন্ত
মন্তব্য করুন