বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় জেনে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭

বিশ্বব্যাপী অনেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। এটি একটি সাধারণ কিন্তু বিপজ্জনক চিকিৎসা অবস্থা। উচ্চ রক্তচাপ নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে এটি কিডনি ফেইলিওর, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তবে জীবনযাপনের ধরনের পরিবর্তন এনে এই সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়-
১. সোডিয়াম গ্রহণ কমাতে হবে
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর সেরা কৌশলগুলোর মধ্যে একটি হলো লবণের ব্যবহার কমানো। লবণের উচ্চ মাত্রার কারণে শরীরে পানি ধরে রাখার ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। আপনার দৈনিক লবণের পরিমাণ সর্বনিম্ন ১,৫০০ মিলিগ্রামে রাখার চেষ্টা করুন, তবে ২,৩০০ মিলিগ্রামের বেশি নয়। খাবার তৈরির সময় লবণের পরিবর্তে ভেষজ এবং মসলা বেশি ব্যবহার করুন। প্রক্রিয়াজাত পণ্যের চেয়ে তাজা উপাদান বেছে নিন।

২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম বজায় রাখা অপরিহার্য। সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিটের মাঝারি ব্যায়াম যেমন দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার আপনার হার্টের পাম্পিং ক্রিয়াকে শক্তিশালী এবং উন্নত করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। সাধারণ শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যেমন বাগান করা বা সিঁড়ি বেয়ে ওঠাও সাধারণভাবে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
হার্টের জন্য উপকারী খাবার খেয়ে রক্তচাপ যথেষ্ট পরিমাণে কমানো যেতে পারে। দানাশস্য, ফল, সবজি এবং চর্বিহীন মাংস নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন পালং শাক, মিষ্টি আলু এবং কলা শরীরে রক্তচাপ এবং সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৪. স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন
চলমান মানসিক চাপের কারণে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো চাপ-হ্রাস কৌশল ব্যবহার করে রক্তচাপ কমাতে পারেন। স্ট্রেস রক্তচাপ বাড়ায়। আপনজনদের সঙ্গে মন খুলে গল্প করুন। এমন কাজ করুন যেগুলো মন ভালো রাখে। এগুলো চাপ কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে।

মন্তব্য করুন