ওজন ঝরাতে গেলে খাওয়া কমাতে হবে। সেটাই মনে করেন সকলে। তেমনটা ভেবেই কেউ এক বেলার খাবার বাদও দিয়ে দেন। কেউ আবার মেপেজুপে খান। অনেকে আবার খেলেও পেট ভরে খান না। কিন্তু ওজন কমাতে এই ধরনের ভাবনা আদৌ সঠিক তো?
মুম্বইয়ের ফিটনেস প্রশিক্ষক বিনোদ চান্না অবশ্য বলছেন অন্য কথা। তিনি বলছেন, ওজন কমাতে গেলে, পেটের মেদ ঝরাতে গেলে, খেতেও হবে। তাঁর কথা উড়িয়ে দেওয়ার জায়গাও নেই। কারণ, শিল্পা শেট্টি থেকে জন আব্রাহাম— বি-টাউনের অনেক তারকাই তাঁর পরামর্শ মেনে চলেন।
২০১৭ সাল নাগাদ ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়েছিলেন ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর পুত্র অনন্ত। তাঁর এই ভোলবদলের নেপথ্যে বিনোদের পরামর্শ ছিল বলে জানা যায়।
মুকেশ-ঘরনি নীতার ফিটনেস ট্রেনারও ছিলেন তিনি। বিনোদ সমাজমাধ্যমে কয়েক বছর আগে ওজন কমানো এবং পেটের মেদ ঝরানো সংক্রান্ত তিনটি পরামর্শ ভাগ করে নিয়েছিলেন। তা নিয়ে এখনও চর্চা চলেছে। কী বলেছিলেন ফিটনেস প্রশিক্ষক?
নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া: প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিনোদ। তাঁর কথায়, হালকা খাওয়া বা দীর্ঘ ক্ষণ না খাওয়ার ফলে পেটফাঁপা, হজমের সমস্যা এড়ানোর উপায় হল নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া। পাতে রাখতে হবে পুষ্টিকর খাবার। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার — সমস্ত কিছুই থাকতে হবে মাপমতো। তবে একেবারে কম খাওয়ার কথাও বলছেন না কিন্তু তিনি। তিনি জোর দিচ্ছেন ‘ব্যালান্স ডায়েটে।’
শরীরচর্চা: ওজন ঝরানোর পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতে সঠিক শরীরচর্চা জরুরি। সেই তালিকায় পেটের পাশাপাশি, পা, কোমর, বুকের মাংসপেশির যথাযথ ব্যায়াম প্রয়োজন। বিনোদের কথায়, এতে পেটের মেদ ঝরানো এবং সুঠাম চেহারা পাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ হয়।
আর কোন ব্যায়াম? তলপেটের মেদ ঝরাতে শরীরের একাধিক মাংসপেশির ব্যায়াম প্রয়োজন। ‘রেকটাস অ্যাবডোমিনাল’-সহ পেটের তলদেশ এবং সামগ্রিক পেটের সঙ্গে যুক্ত মাংসপেশির সঠিক উপায়ে কসরত দরকার, বলছেন বিনোদ।
মন্তব্য করুন