বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তেলের গুণেই সুন্দর শ্রদ্ধা!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৫

শীত পড়তেই চামড়ায় টান ধরে। তখনই তেলের খোঁজ শুরু হয়। তবে নারকেল, সর্ষে বা অলিভ অয়েলের মতো সাধারণ তেল আর এসেনশিয়াল অয়েল কিন্তু এক নয়! অ্যারোমাথেরাপি বা সুগন্ধ চিকিৎসায় এই অয়েল ব্যবহার করা হয় প্রাচীন কাল থেকে।

তবে রূপ-রুটিনে এসেনশিয়াল অয়েলের গুরুত্ব এবং ভূমিকা অন্য। শুধু ত্বকের খসখসে ভাব দূর করা তার কাজ নয়। ত্বকের ধরন এবং সমস্যা অনুযায়ী আলাদা আলাদা এসেনশিয়াল রয়েছে। তবে শুধু রূপচর্চাশিল্পীরাই নন, বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কপূরও এই এসেনশিয়াল অয়েলের গুণমুগ্ধ। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালের চর্মরোগ চিকিৎসক ঋষি পরাশর বলেন, “গাছ, ফুল, ফলের নির্যাস থেকে সংগ্রহ করা হয় এই অয়েল। তাই অন্যান্য সাধারণ তেলের কার্যকারিতা এবং গুণগত মানের দিক থেকে এটি অনেক ক্ষেত্রে আলাদা।”

তিনি বলেন, এই এসেনশিয়াল অয়েল কিন্তু ‘ডিস্টিলেশন’ বা পাতন পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে প্রাকৃতিক উপাদানগুলি সক্রিয় অবস্থায় থাকে। তার পর প্রয়োজন বুঝে তা অন্য একটি ‘ক্যারিয়ার’ অয়েলে মিশিয়ে নেওয়া হয়। তবেই তা ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে।

এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারের কিছু বিধিনিষেধও রয়েছে। সব ধরনের ত্বকের পক্ষে এই জিনিসটি উপযোগী নয়। মাত্রার এ দিক-ও দিক হলেও কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রাকৃতিক উপাদান বলেই তা সম্পূর্ণ নিরাপদ, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। 

এসেনশিয়াল অয়েলে উপস্থিত বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। অয়েলের ঘ্রাণে মাথা ধরা, মাথা ঘোরা কিংবা শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে।
কার জন্য কী ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল ভাল বুঝবেন কী করে?

প্রথমত, এই ধরনের অয়েল চিকিৎসক বা অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। দ্বিতীয়ত, ত্বকের ধরন, প্রয়োজন এবং সমস্যা না জানা থাকলেও এসেনশিয়াল অয়েল কিন্তু সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য ল্যাভেন্ডার, জেরেনিয়াম এসেনশিয়াল অয়েল ভাল। আবার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যেমন রোজ়মেরি অয়েল ভাল। 

অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ এই অয়েল ত্বকের সেবাম উৎপাদনের হারও নিয়ন্ত্রণ করে। কম্বিনেশন ত্বকের জন্য ভাল ল্যাভেন্ডার, টি ট্রি, ফ্রানকিনসেন্স, ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল ভাল। স্পর্শকাতর ত্বকেও এই অয়েলগুলি ব্যবহার করা যায়।

এসেনশিয়াল অয়েল কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়?

সাধারণ তেল গায়ে মাখলেও এসেনশিয়াল অয়েল কিন্তু অন্য ভাবেও ব্যবহার করা যায়। সুগন্ধ চিকিৎসায় ডিফিউজ়ারে এসেনশিয়াল অয়েল দেওয়া থাকে। স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা এই অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। আবার নারকেল, সর্ষে বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে গায়ে মেখে নেওয়া যায়।

মন্তব্য করুন