বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭

ত্বক হোক বা চুল, রূপচর্চায় অ্যালো ভেরা বা ঘৃত কুমারীর ব্যবহার নতুন নয়। বাজারচলতি অ্যালো ভেরা জেল পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু বাড়িতেই যদি গাছ থাকে, ইচ্ছামতো তার পাতা ভেঙে শাঁস বার করে নেওয়া যাবে। 

তা ছাড়া উপাদানটি যে খাঁটি, সে সম্পর্কেও নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। সেই ভেবেই অ্যালো ভেরার চারা কিনেছেন। কিন্তু গাছের পরিচর্যার নিয়মকানুন জানা নেই? জেনে নিন কী ভাবে গাছ বেড়ে উঠবে।

১. গাছের চারা বাছাই গুরুত্বপূর্ণ। নার্সারি থেকে ভাল মানের চারা কিনে আনুন। তবে এনেই সে চারা চড়া রোদে রাখবেন না। রোদের তাপ আসে কিন্তু ছায়া আছে, এমন জায়গা বেছে নিন।

২. চারাটি উপযুক্ত টবে স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন। ১০-১৪ ইঞ্চি টব এ জন্য উপযুক্ত। মাটির টবে যে হেতু জল বাষ্পীভূত হয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, তাই সেটি বেছে নিন।

৩. অ্যালো ভেরা গাছের গোড়ায় ভাল মতো আলো-হাওয়া চলাচল করা প্রয়োজন। তাই মাটি মাঝেমধ্যে খুঁড়ে আলগা করে দিতে হবে। তবে তার আগে প্রয়োজন মাটির প্রস্তুতি। ৫০ শতাংশ মাটি, ৩০ শতাংশ বালি এবং ২০ শতাংশ পারলাইট দিয়ে মাটি প্রস্তুত করে নিন।

৪. গাছটির বেড়ে ওঠার জন্য আলো-হাওয়া দরকার হলেও, চড়া রোদ ভাল নয়। মোটামুটি ৪-৫ ঘণ্টা হালকা রোদে রাখা যায়। এমন কোনও জায়গা বেছে নিন, যেখানে রোদের তাপ এলেও দুপুরে সূর্যের আলো সরাসরি পড়বে না।

৫. অ্যালো ভেরা গাছে প্রতি দিন জল দেওয়া অনুচিত। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে তখনই জল দিতে হবে। মাটির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেন ভাল হয়। জল জমলেই গাছের ক্ষতি হবে। মোটামুটি দু’সপ্তাহে এক বার বা গরমের দিনে সপ্তাহে ১-২ বার জল দিতে পারেন।

৬. গাছে বেড়ে ওঠার সময় মাঝেমধ্যে জৈব সার প্রয়োগ করুন। সাকুলেন্ট জাতীয় গাছের উপযোগী তরল সারও বেছে নিতে পারেন। তবে তার পরিমাপ জেনে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

৭. গাছের পাতা হলুদ হলে বা পচে গেলে সেগুলি কেটে ফেলুন। মাঝেমধ্যে মাটি আলগা করে দিন। তা হলেই বেড়ে উঠবে ঘৃত কুমারী গাছটি।

মন্তব্য করুন