চুলের যত্নে নারকেল তেল, জবার তেল যেমন উপকারী, তেমনই তিলের তেল। তিলের তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও বি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও প্রোটিন রয়েছে; যা চুল সুস্থ রাখতে খুবই জরুরি।
নিয়মিত মাথার ত্বকে ও চুলে তিলের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে চুল পড়া কমে, খুশকি দূর হয়, নতুন চুল গজায়, চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুলের রুক্ষতা ও মাথার ত্বকের সংক্রমণ জাতীয় সমস্যা দূর হয়।
কেন মাখবেন?
চুলের অকালপক্বতা রোধ করতে
চুলের গোড়া মজবুত করতে
মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
চুলে আর্দ্রতা জোগাতে
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চুলকে বাঁচাতে
যেভাবে মাখবেন?
তিলের তেল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে মৃদু ভাবে মালিশ করলে চুল ভালো থাকে। অকালপক্বতা রোধ হয়, ডগা ফাটা কমে, চুল ঘন হয়। তবে তিলের সঙ্গে কয়েকটি উপাদান মিশিয়ে নিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন চুলের প্যাক।
তিলের তেল এবং অ্যালোভেরা
চুলে হোক বা ত্বকে, অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর শাঁস রূপচর্চায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন অ্যালোভেরা।
পদ্ধতি
একটি পাত্রে সমপরিমাণ তিলের তেল এবং অ্যালোভেরার শাঁস বা জেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে চুল ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
তিলের তেল, মধু এবং দই
একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ তিলের তেল এবং ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
পদ্ধতি
চিরুনির সাহায্যে চুল আঁচড়ে, হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে মাথার ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। পানি দিয়ে ধোয়ার পর শ্যাম্পু করে নিন। তারপর ব্যবহার করুন কন্ডিশনার।
সরাসরি তিলও কি ব্যবহার করা যায়?
তিলের তেল না থাকলে, তিল দিয়েও চুলের পরিচর্যা করতে পারেন। কড়াইতে আঁচ কমিয়ে তিলের বীজ নাড়াচাড়া করে ঠান্ডা হলে গুঁড়িয়ে নিন। এক কাপ গরম পানিতে গুঁড়া করা তিল ভালো করে মিশিয়ে নিন।
তারপর তা ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর এই স্প্রে ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে।
মন্তব্য করুন