ম্যাচিয়াটোস, ল্যাটেস, কাপাচিনোস, অ্যারেরিকানোস আর মোচাস কতই না নাম। কফি চেইনগুলোতে অর্ডার করলেই মিলবে নানা ফ্লেবারের ধোঁয়া ওঠা কফি।
বলাই বাহুল্য এই কফিতে দুধ, শটস আর সিরাপতো থাকবেই কিন্তু ক্যাফাইন ক্রেজে নতুন সংযোজন ‘মাখন কফি’। ক্যাফেগুলোতে এখন ধুমসে চলছে এই কফি। আর এমনি এমনি নয়। এই কপি ওজন কমানোর নতুন উপায়। বলাই হচ্ছে ওজন কমাতে চান, কফিতে ঢেলে দিন এক চামচ মাখন।
ঘন করে ডাবল এক্সপ্রেসো তৈরির পর এই মাখন ঢেলে নিতে হবে তার ওপরে। শুনে চমকে উঠতে পারেন অনেকেই। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে, এই চর্বি আমাদের শরীরের জন্য ভালো আর শরীর সচেতনদের মধ্যে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
কেউ নাম দিয়েছে বুলেট কফি, কেউবা ফ্যাট ব্ল্যাক, আর বুলেট প্রুফ কফিও বলা হচ্ছে। স্মার্ট কফি বলেও ডাকছেন কেউ কেউ। আর এই কফি ঘরেও বানানো সহজ। ইন্টারনেটেই রয়েছে এর রেসিপি।
ভক্তরা কেউ কেউ খাবারের বিকল্প হিসেবেও এই কফিতে ঝুকছে। তাদের দাবি যেসব উপাদানে প্রস্তুত হচ্ছে এই কফি তাতে একে আপনি ব্রেকফাস্ট কাপ বলতেই পারেন। আর এতে শরীরের দীর্ঘ সময় শক্তি যুগিয়ে চলে। ফলে না খেয়ে কাটানো হয়, তাতে ক্যালোরি বার্ন হয়, অতিরিক্ত মেদ কমায় আর দুপুরের খাবারের আগে পর্যন্ত ক্ষুধার অনুভূতি তৈরি করে ন।
এই তেলতেলে কফির প্রবর্তক যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রেতা ডেভ অ্যসপ্রে। তিব্বতের পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় চায়ের সঙ্গে মাখন মিশিয়ে দীর্ঘসময় শক্তি ধরে রাখতেন তিনি। তখনই সে এই খাবারের নাম দিয়েছিলেন বুলেট প্রুফ। চর্বি বেশি, শর্করা কম এমন খাবার শরীরকে অবসন্নতা থেকে সুরক্ষা দেয়, ক্রোনিক রোগ থেকে দূরে রাখে আর নাটকীয়ভাবে ওজন কমায়।
রুটি, চিনি, পাস্তার মতো শর্করাযুক্ত খাবার না থেলে এই চর্বি শরীরে জ্বালানির মতো কাজ করে। তবে এখানে মাখন ঠিক কেমন হতে হবে তার জন্য ডেভ ফ্রের কিছু মত রয়েছে। মাখন তৈরি হতে হবে তৃণভোজী গরুর দুধে, আর তা লবনযুক্ত হবে না।
এদিকে ডেভ অ্যাসপ্রের এই কথায় সায় দিতে নারাজ অনেকেই। তিব্বতের পাহাড়ে ঘুরলে যা খাচ্ছেন তাই কাজে লাগছে কিন্তু সাধারণ অবস্থায় কফির সঙ্গে এক চামচ মাখন খেলে ওজন কমবে এমন ধারনা ভুল বলেই মনে করছেন তারা। সকালের অন্যসব খাবার ঠিক রেখে কফিতে মাখন এক চামচ নিয়মিত খেলে ওজন বাড়বে বলেই মনে করেন তারা।
তবে সকালের পুরো নাস্তা হিসেবে এই বুলেট বা স্মার্ট কফি ইদানিং জনপ্রিয়ই হয়ে উঠছে পশ্চিমা দেশগুলোতে।
মন্তব্য করুন