বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

দুধ চা কখন পান করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪৭
ছবি-সংগৃহীত

সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা পানে অভ্যস্ত অনেকেই। চাপ্রেমীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা দুধ চা পান করতে বেশি পছন্দ করেন। আর সেই সুবাদে ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই ফ্রেশ হয়ে দুধ চা পান করেন অনেকেই। তবে এই অভ্যাস ভালো নাকি বিপজ্জনক তা কি জানা আছে আপনার?

যদিও চা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান শরীরে প্রদাহের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া চায়ে এমন কিছু উপাদান যা ব্রেনে হ্যাপি হরমোন ক্ষরণ বাড়ায়। তাই চা পান করলে মনে মনে খুশির অনুভূতি জাগে। এমনকি কাজে মনোসংযোগ করতেও খুবই সুবিধা হয়।

তবে খালি পেটে দুধ চা পান করাটাই নাকি বুদ্ধিমানের কাজ, এমনটিই জানাচ্ছেন ভারতের পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরি। তার মতে, খালিপেটে দুধ চা পান করার অভ্যাস গ্যাস-অ্যাসিডিটির প্রকোপ বাড়াবে। এতে করে ক্রনিক গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যার ঝুঁকিও বাড়বে। তাই এই বদঅভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন।

কোয়েল পাল চৌধুরির মতে, দুধ চা পানের তুলনায় লিকার চা পান করা বহুগুণে স্বাস্থ্যকর। এমনকি সকালে খালিপেটে লিকার চা পান করলে শারীরিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার ঝুঁকিও তেমন থাকে না বললেই চলে। তবে লিকার চায়ে আবার বেশি চিনি মেশাবেন না। এই ভুলটা শুধরে নিলেই ওজন বশে রাখতে পারবেন। এমনকি কন্ট্রোলে থাকবে ডায়াবেটিসও।

দুধ চা কখন পান করবেন?

অনেকের দুধ চা ছাড়া চলে না। সেক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে ১ কাপ দুধ চা পান করতে পারেন। এতে করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অতটা হবে না। আর দুধ চা তৈরির ক্ষেত্রে লো ফ্যাটযুক্ত দুধ ব্যবহার করুন। এই নিয়ম মেনে চললে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে আবার কোলেস্টরলও থাকবে বশে।

দিনে কত কাপ চা পান করবেন?

রং চা দিনে ৩-৪ কাপ পান করতে পারেন, অন্যদিকে দুধ চা ২ কাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন। এতে করে শরীরের তেমন ক্ষতি হবে না। এর বেশি রং চা বা দুধ চা পান করলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে লিভার ও কিডনির মতো অঙ্গেরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এমনকি বাড়তে পারে দুশ্চিন্তা ও অবসাদ।

মন্তব্য করুন