রোগা হতে চান? উত্তর খুঁজছেন ইন্টারনেটে। রকমারি লেখা পড়ে, ভিডিও দেখে নিজের মতো ধারণাও করে নিয়েছেন। কিন্তু যা দেখেছেন, বুঝেছেন, তা আদৌ ঠিক তো?
শরীর সুস্থ রাখতে জল খাওয়া ভাল। নানা জনের কথা শুনে, লেখা পড়ে, ঘণ্টায় ঘণ্টায় জল খাওয়া শুরু করলেন। কিন্তু এতে আদৌ উপকার হবে কি?
জেনে নিন, কোন ধারণা সঠিক নয়?
ওজন বশে রাখতে কার্বোহাইড্রেট নৈব নৈব চ: সমাজমাধ্যমে নানা পোস্ট দেখে মনে হল, ওজন ঝরাতে গেলে জোর দিতে হবে প্রোটিনে। বাদ যাবে কার্বোহাইড্রেট। কারণ, ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু সত্যিই কি কার্বোহাইড্রেট বাদ দেওয়া প্রয়োজন?
মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিসিনের চিকিৎসক মঞ্জুষা আগরওয়ালের কথায়, শরীরের জন্য কার্বোহাইড্রেটও অত্যন্ত জরুরি। শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন খাবারও খাওয়া দরকার।
কার্বোহাইড্রেট খাওয়া একেবারে বন্ধ করলে শরীরে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে। পুষ্টিবিদের কথায়, সুস্থ থাকতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ভারসাম্য খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি।
জল খেলেই সুস্থ থাকা যায়: শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য জল খাওয়া জরুরি। কিন্তু কতটা? কেউ বলেন, ৮ গ্লাস, কেউ বলছেন, ১০ গ্লাস। সারা দিনে ২-৩ লিটার জল খেতেও বলা হয়। কিন্তু একই পরিমাণ জল সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আবার ৮ গ্লাসের মাপও সব সময় সমান হয় না।
কিডনির অসুখ থাকলে, হার্টে সমস্যা থাকলে চিকিৎসকেরা অনেক সময়ই মেপে জল খেতে বলেন। অনেক সময়ই জল খাওয়ার মাত্রা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। সুতরাং এক নিয়ম সকলের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে না।
খিদে রেখে খেলেই ওজন কমবে: মেদ ঝরাতে চাইলে পেট ভরে খাওয়া যাবে না। খিদে রেখে খেলেই দ্রুত ওজন ঝরবে এমনটাই ধারণা অনেকের। কিন্তু খিদে রেখে খাওয়া আর অতিরিক্ত না খাওয়া কি একই?
হজমের সমস্যা এড়াতে বলা হয়, শরীরে অস্বস্তি হয়, পেটে কষ্ট হয়, এমন পরিমাণ খাবার একসঙ্গে না খেতে। তার মানে এই নয়, কম খেয়ে থাকা। বরং কম খেলে বিপাকহার কমে যেতে পারে। যা ওজন কমার বদলে বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
মন্তব্য করুন