উচ্চ কোলেস্টরেল শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। উচ্চ কোলেস্টরেল বন্ধ করে দিতে পারে আপনার হার্টের রক্তনালি। তাই কোলেস্টরেল কোনো ভাবেই বাড়তে দেওয়া ঠিক হবে না।
কিন্তু সব সময় নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয় না। খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম হয়েই যায়! তবে অনিয়ম করলেও কীভাবে সুস্থ থাকা যায়, তার উপায়ও জেনে রাখতে হবে। কিছু পানীয় কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। চুমুক দিতে পারেন তেমন কিছু পানীয়তে।
গ্রিন টি: শরীর ঝরঝরে রাখতে অনেকেই রোজ গ্রিন টি খান। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি কোলেস্টরেলের সঙ্গে লড়তেও গ্রিন টি অত্যন্ত উপকারী। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটাচিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণা জানাচ্ছে, দুই মাস একটানা গ্রিন টি খেলে খারাপ কোলেস্টরেল এলডিএলের মাত্রা ১৪ শতাংশ কমে যায়।
বেরির স্মুদি: ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফাইবার। কম ফ্যাট যুক্ত দুধের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বেরি মিশিয়ে তৈরি করে নিন স্মুদি। কোলেস্টরলের সমস্যা থাকলে সকালের নাশতায় বেরির স্মুদি রাখতেই পারেন। সপ্তাহে ৩ দিন খেলেই কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কমলালেবুর রস: কমলালেবুর রস খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কিছু দিন পরেই শীত চলে আসবে। বাজারে ভরে যাবে কমলায়। কমলা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন দুই কাপ করে কমলার রস খেলে কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। কমলালেবু শুধু কোলেস্টরেল নয়, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
মন্তব্য করুন