গরমের দিনে পাতিলেবুর শরবতে কয়েকটি পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিলেই খেতেও ভাল লাগে, শরীরও ঠান্ডা হয়। ভার্জিন মোহিতো হোক বা গরমের ঘরোয়া শরবত— কয়েকটি পুদিনা পাতা থাকলেই বানিয়ে ফেলা যায় স্বাস্থ্যকর রকমারি পানীয়।
কিন্তু মন চাইলেই তো হাতের কাছে টাটকা পুদিনাপাতা মেলে না। বাজারে গিয়ে কিনলে তবে। তাও বেশি করে কেনার উপায় নেই। কয়েক দিনেই পাতা শুকিয়ে যাবে। তার চেয়ে বরং কাচের বোতলে জলে চাষ করুন পুদিনাপাতা। বছরভর ফলন মিলবে। যত্নআত্তি লাগবে নামমাত্র।
প্রথমেই পাতা-সহ পুদিনার কয়েকটি সতেজ ডাঁটি সুতো দিয়ে মোটা করে বেঁধে নিন। প্লাস্টিকের বোতল বা কাচের বোতলে পুদিনা গাছ বড় করা যাবে। জলভরা বোতলে সুতো বাঁধা পুদিনা গাছের ডালগুলি রাখুন। গাছের ডাঁটির কিছুটা অংশ জলে ডুবে থাকবে। তবে পাতা, ডাঁটির অনেকটা অংশ থাকবে বাইরে।
বোতলটি হালকা রোদে রাখতে হবে। তা হলেই দেখা যাবে ডাঁটির নীচ থেকে শিকড় গজাচ্ছে। বোতল বা হোক প্লাস্টিকের পাত্র, দুই-তিন দিন অন্তর জল পাল্টে নিন খুব সাবধানে, শিকড়ের ক্ষতি না করে।
দিন কয়েকের মধ্যে শিকড় বাড়তে থাকবে, পুদিনার ডাঁটি থেকেও ডালপালা বেরোবে। মাঝেমধ্যে শুধু জল বদলে দিতে হবে। শিকড় অতিরিক্ত লম্বা হয়ে গেলে মাঝেমধ্যে জল থেকে বার করে তার তলদেশ কাঁচি দিয়ে কেটে দিন। আবার জলে রাখুন।
প্রচুর পরিমাণে পুদিনাপাতা পেতে ‘প্রুনিং’ জরুরি। পুদিনা গাছের ডাঁটিগুলি উপর থেকে ২ ইঞ্চি মাপে কেটে ফেলুন। উপরের ডালপালা ছেঁটে দিলে গাছ আরও ভাল ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
পোকার আক্রমণ: পুদিনা গাছে পোকার আক্রমণ হলে, পাতা ঝরতে শুরু করলে নিমতেল স্প্রে করতে পারেন।
সার: গাছের বৃদ্ধির জন্য দরকার খাবার। ইউরিয়া সার খুব স্বল্প পরিমাণে প্রয়োগ করা যায়। ১ চা-চামচ ইউরিয়া ১ লিটার বোতলে মিশিয়ে, জলটি পুদিনা গাছের পাতায় স্প্রে করুন। তবে খুব সামান্যই। সার বেশি হলে গাছের ক্ষতি হবে।
মন্তব্য করুন