বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অতিরিক্ত ঘাম কেন হয়?

প্রবাহ বাংলা নিউজ
  ০২ মে ২০২৪, ১৬:২৩

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ঘামের সঙ্গে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর ঘাম হলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা নেমে যায়।

তবে অনেকেরই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকে। বিষয়টি শারীরিক বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে। আবার অনেকের মুখ ও শরীরের তুলনায় হাতের তালুতে বা পায়ের পাতায় ঘাম বেশি হয়। একে হাইপার হাইড্রোসিস বলে।

স্বাভাবিক মাত্রায় ঘাম সবারই হয়ে থাকে। ঘাম শরীরের অত্যাবশ্যকীয় একটি প্রক্রিয়া। বরং ঘাম না হওয়াও কখনো বড় ধরনের অসুস্থতার লক্ষণ।

তাই অতিরিক্ত ঘামও যেমন শারীরিক কিছু রোগের লক্ষণ আবার না ঘামলেও শরীরে থাকতে পারে নানা অসুখ। আর গরম ছাড়াই যদি আপনি ঘামেন তাহলে বুঝতে হবে বড়সড় রোগের লক্ষণ।

কেউ অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে, নার্ভাস হলে কিংবা রোদে গেলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। আবার পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও বেশি ঘাম হতে পারে। মসলাযুক্ত, ঝাল বা তৈলাক্ত খাবার অতিরিক্ত খেলেও বেশি ঘাম হতে পারে।

আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন- ব্রোকোলি, পেঁয়াজ, খাবারে অতিরিক্ত লবণ খেলেও ঘাম বেশি হতে পারে। আবার শারীরিক দুর্বলতা থেকেও ঘাম বেশি হয়। পাউডার ব্যবহার থেকেও ঘাম দূর করার পরিবর্তে তা আরও বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত ধূমপানও ঘামের কারণ হতে পাতে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়

ঘামের সঙ্গে যেহেতু সোডিয়াম, পটাশিয়াম, বাই কার্বোনেট বেরিয়ে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে যায় তাই পানির সঙ্গে লবণ ও লেবু মিশিয়ে শরবত খেলে ভালো হয়। গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাব খেতে পারেন।

কোল্ড ড্রিংকসের পরিবর্তে টাটকা ফলের রস খান। ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে যেহেতু হাইপার হাইড্রোসিস হয়, তাই বি-কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খান। একবার রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নিন, থাইরয়েড হয়েছে কি না।

মন্তব্য করুন