বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পুরনো কাপড়েই নতুনত্বের ছোঁয়া

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ১৬ নভেম্বর ২০২২, ১৭:২২

বর্তমানে সবাই পোশাক নিয়ে বেশ আগ্রহী। কোথাও যাওয়ার আগে বার বারই চিন্তা করে তার পরিধান করা পোশাকটি বর্তমান সময়ের সাথে মানানসই হচ্ছে কি না? মানানসই করার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পোশাক কেনা হচ্ছে। আর নতুনের এই ভাড়ে পুরনো পোশাক গুলোর জায়গা মিলছে আলমারিতে। আর একটা সময় পর এসব কাপড় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তবে এসব কাপড়েও নতুনত্ব আসে? তৈরি করা যায় ফ্যাশনেবল। কিভাবে? তাই ভাবছেন তো।

একটি পুরনো জামা বা প্যান্ট কিছুদিন পরার পরই ঘর মুছার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই কাপড় দিয়েও তৈরি করা যায় নতুন কিছু। এই নতুন কিছুর শুরু টা ধরা যায় শাড়ি দিয়ে।

আলমারির কোনায় দীর্ঘদিন পরে থাকে শাড়ি। একটা সময় পর শাড়িটা আর পরতে ইচ্ছে করে না। এসময় কি করা যায় শাড়ি দিয়ে? শাড়ি দিয়ে তৈরি করা যায় নানান ধরনের জামা। এটি হতে পারে কামিজ, হতে পারে টপ্স কিংবা গোল জামা। শাড়ি কাপড় হিসেবে বড় হওয়ায় অনেক সময় বোন বা বান্ধবীরা মিলে জুটি বেধে একই ধরনের জামা পড়া যায়। এক কালার শাড়ি হলে তো ছেলেরা পাঞ্জাবিও বানিয়ে পরতে পারে। শাড়ি কেটে তাতে লেজ লাগিয়ে সুন্দর ওড়না ও কামিজ সেট বা শুধু ওড়নাও তৈরি করা যায়। এছাড়া নানা ফ্যাশনের জামা-কাপড় তৈরি করা যায় শাড়ি দিয়ে। এতে শাড়ি পুরনো হয়ে গেলেও তা দিয়ে নতুন কিছু করা সম্ভব।

কামিজ আলমারির কোণে পড়ে ছিল অনেকদিন। একদিন হঠাৎ করে চোখে পড়লো। পরার জন্য বের করে দেখা গেলো গায়ে হয় না। তাই বলে কি কামিজটা ফেলে দিতে হবে?

কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। যদি ইচ্ছে থাকে পছন্দের পুরনো কামিজ টা পরার তাহলে তার উপায় স্বরূপ কামিজ দিয়ে নতুন কিছু করার ইচ্ছে রাখতে হবে। এই নতুন কিছু কি হতে পারে? এই নতুন কিছু হতে পারে কোটি। অর্থাৎ কামিজটিকে মাঝ বরাবর কেটে তাতে সুন্দর লেজ লাগিয়ে তৈরি করতে পারেন কোটি। যা দেখতে যেমন সুন্দর হবে পরতেও আরামদায়ক হবে। এছাড়াও কামিজ গায়ে ফিট কিন্তু লম্বায় ছোট সেক্ষেত্রে কামিজের নিচ দিয়ে সুন্দর লেজ বা ম্যাচিং কালারের কাপড় লাগিয়ে দিলেই কামিজটি বড় হয়ে যাবে এবং পরার উপযোগী হয়ে উঠবে।

মা, নানী-দাদীরা অনেক সময় ওড়না পরে। তাদের সেই ওড়না গুলো আমরা ছোট বেলায় শাড়ি বানিয়ে পরতাম। কিন্তু এখন বড় হয়ে যাওয়ায় আর শাড়ি বানিয়ে পরা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে এই ওড়না গুলো দিয়ে কামিজ, কোটি বা ব্লাউজ বানিয়ে পরা সম্ভব। পুরনো শাড়ি ও ওড়না দিয়ে ছোটদের জন্য সুন্দর সুন্দর জামা তৈরি করা যায়।

কোনো জিনিসই ফেলনা না। তাই পুরনো কাপড়ও ফেলে না দিয়ে তা দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করা যায়। অর্থাৎ ফ্যাশনেও পুরনো কাপড় ব্যবহার করা যায়।

মন্তব্য করুন