বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

যে নিয়মগুলো মেনে চললে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়

লাইফ স্টাইল ডেস্ক
  ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১৫:০০

স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। এতে মৃত্যুঝুঁকি ও পঙ্গুত্বের ঝুঁকি বেশি। এখন আর বয়স্কদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি সীমাবদ্ধ নেই, কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এটি।

স্ট্রোক মাথায় হয়। মাথায় কিছু রক্তনালি আছে। সেই রক্তনালি মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছে দেয়। এই নালির মধ্যে কোনো কারণে বাঁধা তৈরি হলে বা নালি ছিঁড়ে গেলে রক্ত পৌঁছাতে পারে না নির্দিষ্ট জায়গায়। ফলে সেই অংশের কোষ রক্তের অভাবে দ্রুত মরে যায়। এভাবেই স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।

যে কোনো সময় হঠাৎ করেই হতে পারে স্ট্রোক। বিশেষ করে যারা অনিয়মিত জীবন যাপন করেন কিংবা স্থূলকায় তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

এ কারণে বিশেষজ্ঞরা বারবার স্ট্রোক প্রতিরোধের কথা বলেন। কারণ এই অসুখ প্রতিরোধের মাধ্যমেই আপনি সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

এ বিষয়ে আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) স্ট্রোক এড়াতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে। যা সবারই অনুসরণ করা জরুরি-

ভালো খাবার খান

স্ট্রোক এড়াতে খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। সব সময় ঘরের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এর পাশাপাশি মৌসুমি ফল ও সবজি বেশি খেতে হবে। লবণ কম খান। কারণ এর থেকে প্রেশার বাড়তে পারে। ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে দূরে থাকতে হবে।

ওজন বশে রাখুন

স্থূলকায় ব্যক্তিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। আসলে ওজন বেশি থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। সেক্ষেত্রে ওবেসিটি থাকলে সাবধান। এজন্য যারা অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন তারা ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন।

এক্সারসাইজ করুন নিয়মিত

নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে আপনি স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারবেন। এজন্য দৈনিক অন্তত ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন। এর পাশাপাশি জোরে হাঁটুন আধা ঘণ্টা।

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন

স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। বেশিরভাগ স্ট্রোকের ঘটনা ধূমপায়ীদের মধ্যেই ঘটতে দেখা যায়।

একই সঙ্গে মদ্যপানও পরোক্ষভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। মাঝে মধ্যে নিজের ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল, সুগার পরিমাপের চেষ্টা করুন।

মন্তব্য করুন