যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে কনেরা ভারী ও জাঁকজমকপূর্ণ বেনারসিকে একপাশে সরিয়ে নিজেদের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি পরা শুরু করেছেন। বিয়ের দিন সহজ সাবলীল থাকতে এখন অনেকেই বেনারসির বদলে বেছে নিচ্ছেন জামদানি শাড়ি।
জামদানির আবেদন
জামদানি আমাদের দেশি শাড়ি। বর্তমানে অনেক তরুণীই বিয়েতে পরার জন্য জামদানি শাড়িকে প্রাধান্য দেন। ঐতিহ্য আর নকশার কারণে এ শাড়ি নিজেই অনন্য। আর এটি পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরা যায় বলে উপযোগিতা অনেক বেশি। জামদানি শাড়ি তৈরি হয় সুতি ও হাফসিল্ক সুতার ব্যবহারে। ফলে এ শাড়ি সামলানো সহজ এবং দীর্ঘ সময় পরে থাকার জন্য অনেক আরামদায়ক। নকশাদার জামদানি বিয়েতে কনেকে দেয় স্নিগ্ধ লুক।
বিয়েতে পরার উপযোগী জামদানি শাড়ি নিয়ে কাজ করছে কারুতন্ত্র। কারুতন্ত্রের স্বত্বাধিকারী নুসরাত মার্জিয়া বলেন, ‘বিয়েতে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন তা নিয়ে সব নারীর পরিকল্পনা থাকে। পাশাপাশি বিয়ের দিন যে পোশাকটি পরবেন তা যেন আরামদায়ক হয়, সেটাও ভাবতে হয়। জামদানি এমন একটি শাড়ি, যা হালকা আবার একই সঙ্গে জমকালো এবং এটি আমাদের স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্য।’
এ ছাড়াও বিয়ের শাড়ির রঙের ক্ষেত্রে যে লাল রংই বেছে নিতে হবে, এ ধারণা থেকেও এখন অনেক মেয়ে সরে এসেছেন। তাঁরা অন্য রঙের শাড়িও বেছে নিচ্ছেন। সেদিক থেকে জামদানিতে লালসহ বিভিন্ন রং দারুণভাবে ফুটো ওঠে—যোগ করেন নুসরাত মার্জিয়া।নকশার ওপর নির্ভর করে এই শাড়িগুলোর একেকটি তৈরি করতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগে। তা ছাড়া কেউ যদি বিয়েতে জামদানি শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে ওড়না বানিয়ে নিতে চান তাহলে সেটাও কাস্টমাইজ করার সুযোগ রয়েছে কারুতন্ত্র থেকে।
দরদাম: জামদানি শাড়ির দাম নির্ভর করে নকশার ঘনত্বের ওপর। স্বাভাবিকভাবে বিয়ের জামদানির নকশা থাকে ভারী এবং এর দাম বেশি। বিয়ের জামদানির দাম সাধারণত ১৪ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। কেউ চাইলে কারুতন্ত্রের মহাখালী ডিওএইচএসের স্টুডিওতে গিয়ে পছন্দ করে শাড়ি কিনতে পারেন বা কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন।
মন্তব্য করুন