মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩২

বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ভূমি বরাদ্দে অনিয়ম, তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৩
ছবি-সংগৃহীত

বসুন্ধরার ভূমি বরাদ্দে অনিয়ম, তদন্তের নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট

ডোবা দেখিয়ে চট্টগ্রামে ৪৭০ একর ভূমি দীর্ঘ মেয়াদে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি কোম্পানির অনুকূলে বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

পাশাপাশি কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ওই বরাদ্দ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

ভূমি সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারসহ বিবাদীদের প্রতি এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

‘সমুদ্র সৈকতকে ডোবা দেখিয়ে বসুন্ধরাকে বরাদ্দ’ শিরোনামে গত বছরের ১০ অক্টোবর একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ওই বরাদ্দের বৈধতা নিয়ে এবং তদন্তের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ডিসেম্বরে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ, শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। ওই বরাদ্দ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ হবে না, রুলে তা বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ কাওছার বাসস’কে বলেছেন, চট্রগ্রামে সমুদ্র সৈকতের বালুচর শ্রেণির জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করে ডোবা দেখিয়ে বসুন্ধরার দু’টি কোম্পানিকে দীর্ঘ মেয়াদে বন্দোবস্ত দেয়া হয়। এতে রাষ্ট্র ১৮০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। তাই জনস্বার্থে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে ৪৭০ একর ভূমি বরাদ্দ এবং অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপ বসুন্ধরাকে চট্টগ্রামের একটি সমুদ্রসৈকতের বালুচর শ্রেণির জমিকে নথিপত্রে ডোবা দেখিয়ে বরাদ্দ দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার চর বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের তিনটি মৌজা থেকে সমুদ্রসৈকতের ৪৭০ একর জায়গা বরাদ্দ দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আর এই বরাদ্দ দিতে গিয়ে তড়িঘড়ি করে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। 

এই কারণে জায়গাটির বাজারমূল্যের তিনগুণ কম দামে বরাদ্দ পায় বসুন্ধরা গ্রুপ। মৌজা রেট অনুযায়ী বালুচর শ্রেণির (সৈকত) ৪৭০ একরের বর্তমান মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২৩৫ কোটি টাকা (২০১৭-১৮ সালের মৌজার মূল্য অনুযায়ী)। শ্রেণি পরিবর্তনের কারণে সেটা মাত্র প্রায় ৫৫ কোটি টাকায় দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দেয়া হয় বসুন্ধরাকে। ভূমির এ শ্রেণি পরিবর্তন করায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয় প্রায় ১৮০ কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন