ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা হিসাবও জব্দ করেছে কর বিভাগ। বিদেশে সম্পদের খোঁজ শুরু করতে যাচ্ছে দুদক।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে সোমবার সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীদের এ–সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত হারুনের হিসাব জব্দ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সিআইসি।
সিআইসি একই সঙ্গে ডিবি হারুন খ্যাত হারুন অর রশীদের পরিবারের অন্য সদস্যদেরও ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। তারা হলেন হারুনের স্ত্রী শিরিন আক্তার; মা জহুরা খাতুন; ভাই এ বি এম শাহরিয়ার ও জিয়াউর রহমান; শ্বশুর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও আত্মীয় সমরাজ মিয়া।
ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ ও তার পরিবারের সদস্যদের কর ফাঁকির বিষয়টি তদন্ত করছেন এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) কর্মকর্তারা।
তাদের আয়কর নথিতে দেখানো সম্পদ, আয়-ব্যয়ের পাশাপাশি অন্য কোনো আয় ও সম্পদ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। এর অংশ হিসেবেই তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ হয়েছে। সিআইসির কর্মকর্তারা জানান, কর ফাঁকি ধরা পড়লে হারুন ও তার পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়দের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে দেশের শীর্ষ ছয় ব্যবসায়ীরও কর ফাঁকি অনুসন্ধানে নেমেছে সিআইসি। ওই ব্যবসায়ীরা হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান ও ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম।
মন্তব্য করুন