শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

৩৮ কর্মকর্তার তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:২৩
ফাইল ছবি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ১০ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তার তথ্য চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঠানো চিঠি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকতে পারে।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০টি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা আজ পত্রিকায় আমি প্রথম দেখলাম। এখানে কিছু কনফিউশন থাকতে পারে, সেগুলো আমরা দূর করব। অডিট অবজেকশন এবং দুর্নীতি এক জিনিস নয়। একটি ছোট উদাহরণ দিই। আমি দায়িত্বে থাকাকালে কলকাতা মিশনে একটি গাড়ি কেনা হয়। এরচেয়ে অনেক ছোট গাড়ি দিল্লিতে কম দামে কেনা গেছে।

অ্যাডভান্স দেওয়া হয়েছে এজেন্টকে, এজেন্ট মানে দালাল। কিন্তু আসলে গাড়ি কোম্পানির এজেন্ট ওরা। অভিযোগ এসেছে যে, দালালকে দেওয়া হয়েছে চার লাখ টাকা সেটা আদায়যোগ্য। অবজেকশনটা আমার বিরুদ্ধে। এটা আমি কেন দিলাম, আমার কাছ থেকে নাকি এ টাকা আদায়যোগ্য হবে।

মিশন অডিটের ডিজিকে বললাম গাড়ি কিনতে হলে বুকিং দিতে হয়, সেজন্য আগাম কিছু টাকা দিতে হয়। অডিট অবজেকশন অনেক সময় এরকম হয়। সেগুলোকে দুর্নীতি হিসাবে দেখা হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। কারণ, অভিযোগের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এগুলো অনেক অডিট অবজেকশনের ফলাফল। অডিট অবজেকশন আর দুর্নীতি এক জিনিস নয়। আমরা দেখব।

দুদককে সহযোগিতা করার বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সহযোগিতা তো অবশ্যই করব। আমরা তো চাই না কোনো দুর্নীতি হোক। কাজেই যেটুকু সহযোগিতা চাইবে আমরা করব, দেখতে হবে দুর্নীতি হয়েছে কিনা। সেটা দেখে সেভাবে সহযোগিতা করব।

তার মানে কি দুদকের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকতে পারে-এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, অবকাশ আছে বলে আমার মনে হয়। তবে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলব না যতক্ষণ প্রতিটা কেস আমি ডিটেইলস দেখব।

৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় দুদক। বিভিন্ন মিশন থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফেরত আসতে বলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চুক্তিতে যারা ছিলেন তাদের সবাইকে রিকল করা হয়েছে।

তার মধ্যে তিনজন ছিলেন অ্যাডমিন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা, তাদের ইতোমধ্যে চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের আমরা ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম। তারা সবাই চলে আসবেন। তবে রিপ্লেসমেন্টে কিছুটা সময় লাগবে। হুট করে তো হবে না। এটা ভেবেচিন্তে দিতে হবে অভিজ্ঞ যারা আছেন।

 

মন্তব্য করুন