বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দিঘির পানিতে বিষ প্রয়োগে মাছ হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬

 মাত্র ৬ মাস আগে দিঘির পানিতে বিষ প্রয়োগে মাছ হত্যা করা হয়। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘটে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি  হাজীগঞ্জের হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা জনকল্যাণ সমিতির মাছ চাষকৃত দিঘিতে। এতে করে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এতে করে গ্রামের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ গরিবের প্রায় ১০ লাখ টাকার হক নষ্ট করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন করে দুর্বৃত্তরা।
দিঘিটি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আবু তাহের বকাউল জানান, ভোররাতে ফজর নামাজ আদায়ে মসজিদে যাওয়ার সময় স্থানীয় মহিলারা জানান দিঘির মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে। প্রথমে ভাবলাম গ্যাসের অভাবে মাছ মরে ভেসে উঠছে। কিন্তু পরে দেখি দিঘিতে তিন প্যাকেট গ্যাসের পাউডার ভাসছে। তখন বুঝতে পারলাম বিষ প্রয়োগ করে মাছগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তিনি আরো  জানান, এই দিঘিটির মালিক হচ্ছে ধড্ডা জনকল্যাণ সমিতি। ২০২২ সালে সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হুমায়ুন কবির লিটন। আর তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দিঘির মাছ বিক্রি করে যে টাকা আয় হয়, ওই টাকা গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ অসহায় গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর দুর্বৃত্তরা পুকুরে বিষ দিয়ে মাছগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আবু তাহের বকাউল জানান, বিষ দেয়ার বিষয়টি সমিতির সভাপতিসহ এলাকার গণ্যামান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছেন এবং তাদের নির্দেশনায় পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে কে বা কারা পুকুরে গ্যাস পাউডার দিয়েছে তা ধারণা বা অনুমান করতে পারছেন না কেউ।
এদিকে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালীন সময় দেখা গেছে স্থানীয় ও এলাকার লোকজন মরা মাছগুলো ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং অসংখ্য চিল (পাখি) মাছ শিকার করছে। এ সময় স্থানীয়রা জানায়, দিঘিতে মরা মাছ ভেসে উঠার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কয়েক শতাধিক মানুষ জাল, ছাঁই, টেঁটা, ছালনিসহ যার যা আছে তা নিয়ে পুকুরে নেমে পড়েন এবং তারা ফজর নামাজের পর থেকে মাছ ধরতে শুরু করে।
স্থানীয় তারা মিয়া জানান, লিটন সাহেব ভালো মানুষ। তিনি সমিতির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মাছ বিক্রির টাকাগুলো মসজিদ, মাদ্রাসা ও মানুষকে দিয়ে দেন। অথচ কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়ে এবারসহ একে একে দুইবার মাছগুলো মেরে ফেলছে। তিনিও দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে ধড্ডা জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও ইউনিয়ন উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির লিটন বলেন, বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ নিধনের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

মন্তব্য করুন