মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার-দাম

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০৭
ছবি- সংগৃহীত

ফ্রেমবন্দি মুহূর্তগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলতে ডিএসএলআর ক্যামেরার কোনো জুড়ি নেই। যে কোনো মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করার সময় সৃজনশীলতা চর্চায় স্বাধীনতার স্বাদ দেয় এই ডিজিটাল ক্যামেরাগুলো।

কারিগরি সরঞ্জামের দিক থেকে অন্যান্য ক্যামেরাগুলোকে ছাপিয়ে যাওয়ায় প্রত্যেক ফটোগ্রাফিপ্রেমীর স্বপ্ন থাকে এরকম একটি ক্যামেরা সঙ্গে রাখার।

ছবি তোলার সেরা অভিজ্ঞতা লাভের পাশাপাশি উচ্চ-রেজ্যুলেশন সেন্সর এবং বহুমুখী লেন্সগুলোর কারণে দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে ক্যামেরাগুলোর। তাই এমন একটি যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুচিন্তিত বিনিয়োগের। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে নজর দেওয়া উচিৎ ক্যামেরা সংক্রান্ত কিছু কারিগরি বিষয়ে। সেই বিষয়গুলোর সম্যক ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি চলুন, বর্তমান বাজারের জনপ্রিয় কয়েকটি ডিএসএলআর ক্যামেরার দাম ও ফিচার দেখে নেওয়া যাক।

ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার আগে যেসব বিষয়গুলো দেখা উচিৎ
সেন্সর
ক্যামেরার সেন্সর হলো একটি ইলেক্ট্রনিক চিপ, যা আলো ক্যাপচার করে ভিউফাইন্ডারের মাধ্যমে তাকে ফটোগ্রাফে রূপান্তরিত করে। সেন্সর প্রধানত ৩ ধরনের- ফুল-ফ্রেম, ক্রপ বা এপিএস-সি (অ্যাডভান্স্ড ফটো সিস্টেম-টাইপ সি) এবং মিডিয়াম ফর্মেট।

ফুল-ফ্রেম দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে যথাক্রমে ৩৬ ও ২৪ মিলিমিটার। এই সেন্সরের ক্যামেরাগুলো বিস্তৃত টোনাল পরিধিতে বেশ ভালো কাজ করে। অর্থাৎ এগুলোতে আলোকিত বা অন্ধকারাচ্ছান্ন পরিবেশের ছবিগুলো বেশ দক্ষতার সঙ্গে ধারণ করা সম্ভব। ফুল-ফ্রেম ক্যামেরাতে কোনো ক্রপ ফ্যাক্টর থাকে না। এর মানে ভিউফাইন্ডারের মধ্য দিয়ে সামনে যা দেখা যায় অনেকটা অবিকল ঠিক তাই রেকর্ড করা যায়।

এন্ট্রি ও মিড-লেভেল ক্যামেরাগুলোতে সাধারণত ক্রপ সেন্সরই বেশি থাকে। পূর্ণ-ফ্রেম থেকে তুলনামূলকভাবে ছোট ও হাল্কা এই সেন্সরগুলোর পরিমাপ ২৩ দশমিক ৫ x ১৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার। ক্রপ সেন্সর তার পূর্ব-নির্ধারিত পরিসীমা দিয়ে রেকর্ডকৃত ছবির নির্দিষ্ট অংশকে তুলে ধরে। ফলে অনেক দূর থেকে নির্দিষ্ট কোনো বস্তুর ছবি নেওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো দারুণভাবে ফোকাস করতে পারে। তাই এই সেন্সরগুলো বন্যপ্রাণী বা ক্রীড়া ফটোগ্রাফির জন্য উত্তম।

৩টির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল হলো মিডিয়াম ফরম্যাট সেন্সর, যার পরিমাপ ৫৩ দশমিক ৪ x ৪০ মিলিমিটার। সেন্সর বড় হওয়ার কারণে মিডিয়াম ফরম্যাটের ক্যামেরায় বেশি মেগাপিক্সেল থাকে। এতে করে বাস্তব দৃশ্যের রঙ ও আলো-আধারীর খেলার সঙ্গে এই ক্যামেরায় তোলা ছবির পার্থক্য কদাচিৎ ধরা যায়।

তবে মিডিয়াম ফরম্যাটের একটা বড় অসুবিধা হলো ধীরগতির বার্স্ট মুড এবং ফোকাস। অর্থাৎ দ্রুত গতিতে চলমান কোনো বস্তুর শট নেওয়ার ক্ষেত্রে এই সেন্সরের ক্যামেরাগুলো যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে।

মেগাপিক্সেল
লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রঙের বিন্দু একত্রে মিশে তৈরি করে একটি ডিজিটাল ছবি। এই বিন্দুগুলোর নাম পিক্সেল। ২২-মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ছবিতে থাকে ২২ মিলিয়ন পিক্সেল। আপাত দৃষ্টে মনে হতে পারে যত বেশি মেগাপিক্সেল, ছবির রেজ্যুলেশন তত বেশি। তবে এটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। সর্বোচ্চ মানের ছবির জন্য পিক্সেলের সংখ্যার সঙ্গে সেন্সরের আকার সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া জরুরি।

৫০ মেগাপিক্সেলের একটি স্মার্টফোনের ক্যামেরায় যে পরিমাণ পিক্সেল থাকে, তা ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি মিডিয়াম ফরম্যাটের ক্যামেরার তুলনায় অনেক কম। কেননা স্মার্টফোনের ক্যামেরার সেন্সর অনেক ছোট। আর সেই ছোট জায়গার মধ্যেই একসঙ্গে থাকে ৫০ মিলিয়ন পিক্সেল। এর ফলে সেন্সরের আলো ধরে রাখার ক্ষমতা কম থাকায় ছবি ক্যাপচারের সময় ফ্ল্যাশ এবং শব্দের আধিক্য থাকে।

অন্যদিকে বড় সেন্সরে পিক্সেলের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকায় ছবির টোনালের গুণগত মান ভালো থাকে, তথা বাস্তব রঙগুলো ছবিতে নিখুঁত ভাবে ফুটে উঠে।

লেন্স
কোনো বস্তুর ছবি তোলার পর ক্যামেরার লেন্সের ভেতরে যে বিন্দুতে বস্তুটির প্রতিবিম্ব তৈরি হয় তাকে ছবির ফোকাল বিন্দু বলা হয়। এই বিন্দু থেকে লেন্সের কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্ব লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য নামে পরিচিত। এই দূরত্বটি লেন্সের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেননা এর উপর ভিত্তি করে লেন্সের প্রধান দুইটি শ্রেণী রয়েছে। একটি হচ্ছে প্রাইম, এবং অন্যটি জুম লেন্স।

প্রাইম লেন্সের একটি নির্দিষ্ট ফোকাল দৈর্ঘ্য থাকে। এখানে অ্যাপারচার বেশি হওয়ায় ভালো মানের ছবি পাওয়া যায়। যে অংশের মধ্য দিয়ে আলো ক্যামেরায় প্রবেশ করে, সেটিই লেন্সের অ্যাপারচার। এর পরিধি যত বেশি হয়, তত বেশি আলো ক্যামেরার সেন্সরে পৌছতে পারে। ফলশ্রুতিতে ছবিটি বেশি এক্সপোজার পায়।

অপরদিকে জুম লেন্সে একাধিক ফোকাল দৈর্ঘ্য থাকে। বহুমুখী এই একটি লেন্স থাকলে ক্যামেরার জন্য একাধিক লেন্সের প্রয়োজন পড়ে না।

ফোকাল দৈর্ঘ্যে ৮ থেকে শুরু করে ২ হাজার মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ছোট ফোকাল দৈর্ঘ্যের লেন্সগুলো ছোট বড় প্রাকৃতিক দৃশ্য ও স্থাপত্য ফটোগ্রাফির জন্য ভালো। আর দীর্ঘ ফোকাল দৈর্ঘ্য খেলাধুলা বা বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফির জন্য উপযুক্ত।

আইএসও সংবেদনশীলতা
আলোর প্রতি ক্যামেরার সংবেদনশীলতাকে বোঝাতে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও)-এর সেট করা কিছু সাংখ্যিক মান রয়েছে। এগুলোকে সংক্ষেপে আইএসও বলা হয়। আইএসও সংখ্যা বেশি হওয়া মানে কম আলোতেই ক্যামেরাটি ছবি তুলতে সক্ষম। আইএসও ঘরের ভেতরে ছবি তোলার সময় ফ্ল্যাশের প্রয়োজনীয়তা কমায় এবং ছবিকে বাস্তবিক করে তুলতে পারে। তবে আইএসও’কে পরিবেশে বিদ্যমান আলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখা আবশ্যক। কেননা বেশি আইএসওর কারণে অনেক সময় ছবি নষ্ট হয়ে যায়।

যেমন রাতে বা কম আলোতে খালি চোখে যা দেখা যায়, তা ক্যাপচার করতে ১ হাজার ৬০০ আইএসও যথেষ্ট। তাই ডিএসএলআর বাছাইয়ের সময় আইএসওর রেঞ্জের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

অটোফোকাস সিস্টেম ও বার্স্ট রেট
একটি ভালো ফোকাসিং সিস্টেম স্থির এবং চলমান বিষয়গুলোতে আলাদাভাবে ফোকাস করার সুবিধা থাকে। উপযুক্ত ফোকাসিং সিস্টেম মানে প্রতি সেকেন্ডে ফ্রেম সংখ্যা বেশি (এফপিএস) হওয়া, বেশি ফোকাস পয়েন্ট এবং অটোফোকাস (এএফ) সিস্টেম। মূলত খেলাধুলা এবং অ্যাকশন ফটোগ্রাফি করার সময় কম সময়ে অনেকগুলো শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে এএফ সিস্টেম থাকলে অনেক দুর্দান্ত শট হারিয়ে যাওয়া থেকে রেহাই মিলে।

এফপিএস ক্যামেরার বার্স্ট রেটকে প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে জানা যায় ক্যামেরাটি প্রতি সেকেন্ডে কতগুলো ফ্রেম শুট করতে সক্ষম। খেলাধুলা বা অ্যাকশন ছবির পাশাপাশি বেশি বার্স্ট রেট থাকা পোর্ট্রেইট ছবি ধারণের জন্যও ভালো।

শাটার স্পিড
ছবি ক্যাপচারের সময় আলোকে প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য ক্যামেরার শাটার উন্মুক্ত হয়। শাটার খোলা থাকার সময়কে কম-বেশি করে ছবিটি কেমন দেখাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই সময়টির আরও একটি নাম আছে, যা এক্সপোজার টাইম নামে পরিচিত। শাটারের গতি পরিমাপ করা হয় এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ হিসেবে। যেমন, শাটার গতি ১/২ হাজার মানে- শাটারটি এক সেকেন্ডের ২ হাজার ভাগের ১ ভাগের জন্য খোলা থাকে। ভগ্নাংশের নিচের সংখ্যাটি যত বেশি হয়, শাটারও তত দ্রুত গতি সম্পন্ন হয়।

টেকসই কাঠামো
প্রতিকূল পরিবেশে ছবি তোলার জন্য ডিএসএলআর-এর গঠনটি মজবুত হওয়া অপরিহার্য। নানা ধরণের মজবুত উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ডিএসএলআর ধুলাবালি, আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার তারতম্য সহ্য করতে সক্ষম হয়। এতে করে ক্যামেরাটি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কম পড়ে এবং দীর্ঘ সময় ধরে নিশ্চিন্তে ফটোগ্রাফি করা যায়।

ব্যাটারির আয়ুষ্কাল
ছবি প্রক্রিয়াকরণের জন্য নানা ধরণের ফাংশন থাকায় একটি ডিএসএলআর ক্যামেরার যথেষ্ট পাওয়ারের দরকার হয়। তাই ছবি তোলার সময় ক্যামেরা যেন আকস্মিক ভাবে বন্ধ হয়ে না যায়, তার জন্য প্রথমেই একটি ভালো মানের ব্যাটারি নেওয়া উত্তম। অধিকাংশ ক্যামেরা আজকাল লিথিয়াম আয়নের মতো রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করে। এই ব্যাটারিগুলো ক্যামেরা সক্রিয় থাকার জন্য পর্যাপ্ত সময় ধরে শক্তির যোগান দিতে পারে।

ব্র্যান্ডের খ্যাতি
একটি ক্যামেরার কোন কোন বিষয়গুলো খুটিয়ে দেখতে হয় সে ব্যাপারে অনেকেই অনভিজ্ঞ থাকতে পারেন। বিশেষ করে নতুনদের জন্য এই খুটিনাটি যাচাই করে দেখাটা বেশ কষ্টসাধ্য। এই বিড়ম্বনা থেকে এক নিমেষেই মুক্তির উপায় হতে পারে ক্যামেরাটির ব্র্যান্ড কতটা সুপ্রতিষ্ঠিত সেদিকে নজর দেওয়া।

প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডগুলো বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ভাবে স্বীকৃত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ক্যাটলগসহ বিজ্ঞাপনগুলো কারিগরি দিক থেকে সুবিধাগুলোর বিস্তারিত বিবরণে সমৃদ্ধ থাকে। সেই সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ গাইডলাইনেরও ব্যবস্থা রাখে খ্যাতিমান ব্র্যান্ডগুলো। এছাড়া ফার্মওয়্যার আপডেট ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবার মতো বিভিন্ন ধরণের গ্রাহক পরিষেবার সুবিধা তো আছেই।

বর্তমান বাজারে প্রচলিত কয়েকটি ডিএসএলআর ক্যামেরা
ক্যানন EOS 4000D
১৮ মেগাপিক্সেল এপিএস-সি সেন্সর সমৃদ্ধ এই ক্যামেরার দাম ৪২ হাজার ৪০০ টাকা। আনুভূমিক ও উল্লম্ব ভাবে সেন্সর প্রায় ২২ দশমিক ৩ মিলিমিটার x ১৪ দশমিক ৯ মিলিমিটার। লেন্স মাউন্টের জন্য আছে ইএফ (ইলেক্ট্রো ফোকাস) অথবা (ইএফ-এস ইলেক্ট্রো ফোকাস- শর্ট ব্যাক ফোকাস)। আইএসও এইচ: ১২৮০১ পর্যন্ত প্রসারণযোগ্য। শাটার অন-অফ সময় ৩০ থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ডে নামিয়ে আনা যায়। ৬ দশমিক ৮ সেন্টিমিটারের এলসিডি মনিটরের ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল উল্লম্বভাবে প্রায় ১২০ ডিগ্রি এবং আনুভূমিকভাবে প্রায় ১৩০ ডিগ্রি। শক্তিকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিসের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৩ বছর।

নিকন D5300
বর্তমানে ২৪ মেগাপিক্সেলের এই ডিএসএলআরটির দাম ৪৩ হাজার টাকা। এতে রয়েছে এপিএস-সি সেন্সর এবং থ্রিডি ট্র্যাকিংসহ ৩৯ পয়েন্ট এএফ সিস্টেম। ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৬০০ পর্যন্ত সম্প্রসারণযোগ্য আইএসও। এলসিডি মনিটরের পুরুত্ব ৩ দশমিক ২ ইঞ্চি। শাটার স্পিড ৩০ সেকেন্ড থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ড-এ বাড়ানো যায়। বিল্ট-ইন ওয়াইফাই এবং জিপিএসের পাশাপাশি আছে ইউএসবি ২ এবং মিনি টাইপ সি এইচডিএমআই। আরও আছে ফুল এইচডি ভিডিও ক্যাপচার সুবিধা। যে কোনো সমস্যায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ বছর পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিস পাওয়া যাবে।

ক্যানন 2000D
২৪ দশমিক ১ মেগাপিক্সেলের এই ডিএসএলআরটির মূল্য ৪৬ হাজার টাকা। সেন্সরের আকার প্রায় ২২ দশমিক ৩ মিলিমিটার x ১৪ দশমিক ৯ মিলিমিটার। শাটারের স্পিড ৩০ থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ড।

আইএসও এইচ: ১২৮০১ পর্যন্ত প্রসারিত করা যায়। লেন্স মাউন্ট ইএফ/ইএফ-এস। ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এলসিডি মনিটরে ভিউইং অ্যাঙ্গেল রয়েছে প্রায় ১৭০ ডিগ্রি। এছাড়াও ক্যামেরাটি ফুল এইচডি ভিডিও ক্যাপচারের সুবিধা দেয়। মডেলটির জন্য সার্ভিস ওয়ারেন্টি ৩ বছর।

নিকন Coolpix A1000
ওয়াইফাই, ইউএসবি, ব্লুটুথ এবং এইচডিএমআই আউটপুট সম্বলিত ১৬ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরার দাম ৫০ হাজার টাকা। সিমস টাইপ সেন্সরের আকার ১/২ দশমিক ৩ ইঞ্চি। অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা ৩৫গুণ এবং ডিজিটাল জুম ৪গুণ পর্যন্ত। দ্রুতি গতিতে চলমান কোনো বস্তুর শট নেওয়ার জন্য আছে কনট্রাস্ট-ডিটেক্ট এএফ। ১০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ সম্প্রসারণযোগ্য আইএসও এবং এক্সপোজার টাইম ১ থেকে ১/২ হাজার সেকেন্ডে উন্নীত করা সম্ভব। ৩ ইঞ্চি ওয়াইড ভিউইং অ্যাঙ্গেল এলসিডি ডিস্প্লে। সমগ্র ডিভাইসের পাওয়ার হাউস একটি রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। বিক্রয়-পরবর্তী সার্ভিস ওয়ারেন্টি ৩ বছর।

নিকন D3500
৩ ইঞ্চির ওয়াইড ভিউয়িং অ্যাঙ্গেলের এলসিডি স্ক্রিনের এই ডিএসএলআরটির মূল্য ৫০ হাজার টাকা।

সেন্সরের আকার ২৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার x ১৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার এবং রেজ্যুলেশন ২৪ দশমিক ২ মেগাপিক্সেল। আইএসও কমপক্ষে ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৬০০। এক্সপোজার টাইম ৩০ থেকে সর্বনিম্ন ১/৪ হাজার সেকেন্ডে কমিয়ে আনা যায়। D3500-এর বিশেষত্বের মধ্যে রয়েছে ওয়াইফাই, ৪ দশমিক ১ ব্লুটুথ, ইউএসবি, টাইপ সি মিনি-পিন এইচডিএমআই, এবং বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন। ভিডিওগ্রাফির জন্য আছে ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ডের বৈশিষ্ট্য। দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহে নিবেদিত রয়েছে ১টি রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি।

বিক্রয়োত্তর ফ্রি পরিষেবা একটানা সর্বোচ্চ ৩ বছর।

ক্যানন EOS 250D
ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই সমৃদ্ধ এই মডেলটির বর্তমান বাজার মূল্য ৬০ হাজার টাকা। ক্রপ সেন্সরের রেজ্যুলেশন ২৪ দশমিক ১ মেগাপিক্সেল। আইএসও সর্বোচ্চ এইচ: ৫১২০০ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এক্সপোজার টাইম ৩০ থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ডে উন্নীত করা সম্ভব। ৭ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার এলসিডি মনিটরটি টাচস্ক্রিনের। লেন্স মাউন্ট হিসেবে আছে শুধুমাত্র ইএফ। ডিএসএলআরটির আরও রয়েছে ফোরকে ভিডিও ক্যাপচারের বৈশিষ্ট্য। আর অন্যান্যগুলোর মতো এতেও পাওয়ার হাউস হিসেবে রয়েছে রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। তবে EOS 250D-এর জন্য ফ্রি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে ১ বছর।

শেষাংশ
ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই সেন্সর, মেগাপিক্সেল ও লেন্সের মাঝে সামঞ্জস্য বিধান করা জরুরি। মূলত ঠিক কোন ধরণের বিষয় নিয়ে ফটোগ্রাফি করা হবে তা নির্ধারণ করে ক্যামেরা কেনার প্রতি অগ্রসর হওয়া উত্তম। তবে যারা ফটোগ্রাফির প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য ক্যানন ও নিকনের এই মডেলগুলো উপযুক্ত হতে পারে। এছাড়া এগুলোর মাধ্যমে একদম নতুনরাও ক্যামেরার কারিগরি বিষয়গুলো চর্চা শুরু করতে পারে।

মন্তব্য করুন