বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মোবাইলে ম্যাসেজ বিড়ম্বনা বেড়েই চলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪৬
ছবি-সংগৃহীত

গ্রাহকদের মুঠোফোনে বিনামূল্যে সরকারি তথ্যের এসএমএস পাঠাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনা মানছে না দেশের মোবাইল অপারেটররা। 

এজন্য ‘মোবাইল অপারেটরদের সহযোগিতায় বিনামূল্যে সরকারি তথ্য (গভ. ইনফো) এসএমএস প্রেরণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০২৪’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। 

একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত তথ্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড এবং স্থায়ীভাবে দৃশ্যমান রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ও টেলিকম শাখা থেকে প্রকাশিত চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষামূলক, সেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রের সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার পত্রের অনুরোধে বিভিন্ন তথ্য জনগণের কাছে মোবাইল অপারেটরদের সহযোগিতায় বিনামূল্যে ‘গভ. ইনফো’ মাস্কিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়। 

মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিনামূল্যে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেবাটি সব গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেকে এ নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করছে না। সেজন্য এই নির্দেশিকা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করে স্থায়ীভাবে দৃশ্যমান রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল অপারেটরদের সহযোগিতায় বিনামূল্যে সরকারি তথ্য গ্রাহককে পাঠানোর নির্দেশ জারি করা হয়।

এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্ত দেওয়া হয়েছে-
১. ‘গভ. ইনফো’ মাস্কিংয়ে কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার এসএমএস প্রচার করা হবে।

২. এসএমএস প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিতব্য এসএমএসের কনটেন্ট ও এসএমএস প্রচারের তারিখ উল্লেখ করে প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের স্ব স্ব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বিটিআরসিতে চিঠি পাঠাতে হবে।

৩. এসএমএসের কনটেন্ট অবশ্যই বাংলায় এবং ২০০ ক্যারেক্টার (স্পেসসহ) এর মধ্যে থাকতে হবে। উল্লেখ্য, কেবল ওয়েবসাইটের লিংক, ই-মেইল অ্যাড্রেস, ট্রেডমার্ক করা শব্দ এবং কোনো বৈজ্ঞানিক ফরমুলা এবং ইকুয়েশন ইংরেজিতে দেওয়া যাবে।

৪. এসএমএস প্রেরণ সংক্রান্ত পত্র এসএমএস প্রচারের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৭ কার্যদিবস আগে বিটিআরসিতে পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে।

৫. ‘গভ. ইনফো’ মাস্কিং ব্যবহার করে দিনে সর্বোচ্চ দুটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের এসএমএস প্রচার করা হবে।

৬. একটি সরকারি সংস্থা থেকে মাসিক সর্বোচ্চ একটি এসএমএস প্রচার করা হবে।

৭. জাতীয় দিবস, জাতীয় অনুষ্ঠান, জাতীয় দুর্যোগ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী সম্বলিত শুভেচ্ছা বার্তা বা এসএমএস সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।

৮. বিভিন্ন জাতীয় দিবস বা উৎসবের বিষয়ে শুধু দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের এসএমএস প্রচার করা হবে। যেমন: ২৬ মার্চ বা ১৬ ডিসেম্বরের এসএমএস প্রচারের ক্ষেত্রে কেবল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কনটেন্ট বা টেক্সট প্রচার করা হবে।

৯. একই তারিখে একের অধিক এসএমএস প্রচারের পত্র গৃহীত হলে সেক্ষেত্রে জনসচেতনতামূলক বা জনগুরুত্বপূর্ণ এসএমএস অগ্রাধিকার পাবে।

১০. নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কিত কোনো এসএমএস প্রচার করা হবে না।

১১. এসএমএস পাঠানোর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অডিয়েন্স, গ্রুপ, এলাকা উল্লেখ করে আবেদন করাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

১২. দলীয় নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত বিষয়ে এ এসএমএস সেবা ব্যবহার করা যাবে না।

১৩. এসএমএস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছ থেকে এসএমএস প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর অপারেটর অনুযায়ী এক্সেল ফরমেট বিটিআরসিতে পাঠাতে হবে।

মন্তব্য করুন